বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
শিক্ষকের জীবনমান উন্নয়ন ও একীভূত শিক্ষা কাঠামো : টেকসই শিক্ষাব্যবস্থায় অতীব জরুরি  যুব দিবসে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তির বিকাশে একসঙ্গে কাজের আহ্বান চরভদ্রাসনে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ফরিদপুর চিনিকলে কর্মকর্তাদের চারদিন ব্যাপী চাকুরিকালীন ইনহাউজ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত মধুখালীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত সাবেক এমপি চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সদরপুরে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা উত্তাল পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয় রাজবাড়ীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ নড়াইলে চাঁদা না দেওয়ায় বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম অপকর্ম দেখে ফেলায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় সোয়েবকে

বোয়ালমারীর একতারা-দোতারা যাচ্ছে লালনের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়

  • Update Time : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.৪১ এএম
  • ১২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বোয়ালমারী
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তৈরি একতারা, দোতারা, সরোস, সরোত, খঞ্জুরি এখন কেবল স্থানীয় পর্যায়েই নয়, পৌঁছে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। এমনকি ভারতেও রপ্তানি হচ্ছে এসব লোকজ বাদ্যযন্ত্র, এমনটাই জানিয়েছেন কারখানার মালিক সাধু হেলাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধু হেলালের কারখানায় তৈরি বাদ্যযন্ত্রগুলো কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা জেলাসহ দেশের নানা এলাকায় পাইকারি দামে বিক্রি হয়। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ডহরনগর গ্রামে। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে রূপাপাত ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নিজের কারখানায় এই বাদ্যযন্ত্রগুলো তৈরি করে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানায় চারজন শ্রমিক কাজ করেন। একতারা ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, আর দোতারা, সরোস ও সরোত ৪ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
সাধু হেলাল দৈনিক কুমারকে বলেন, “আমি সাত বছর ধরে এসব বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছি। আশপাশের ছোট-বড় মেলাগুলোতেও এগুলোর চাহিদা রয়েছে। ভারতেও পাঠানো হয়। আমার কারখানায় নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের প্রতিদিন ৭০০ টাকা করে মজুরি দিতে হয়। প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়।”
বোয়ালমারীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমীর চারু দৈনিক কুমারকে বলেন, “এক সময় গ্রামাঞ্চলের মানুষ লোকসংগীত, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি গাইতো একতারা-দোতারা বাজিয়ে। বর্ষাকালে উঠানে মানুষ জড়ো হয়ে রাতভর গান গাইতো। এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে একতারা-দোতারার কদর অনেকটাই কমেছে।”
এ বিষয়ে রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, “সাধু হেলাল বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে একদিকে যেমন জীবিকা নির্বাহ করছেন, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজ সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার কারখানাটি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা থাকবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION