জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর এবং ব্যাংকের কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছেন। এ ঘটনায় নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়ায় এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে। সকালে প্রতারক চক্রটি ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে এক ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তবে সচেতন ওই ব্যক্তি বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। পরে ৯৯৯-এর পক্ষ থেকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।
আরেক ঘটনায় একই কৌশলে এক ব্যক্তিকে ফোন করে প্রতারকরা জানায়- তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বিষয়টি মীমাংসা করতে হলে টাকা দিতে হবে। এসময় তারা বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্যও জানতে চায়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জানিয়েছে, ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর বা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন জানতে চায় না। এই সেবার মাধ্যমে শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স সেবা দেওয়া হয়।
৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে কেউ যদি ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য জানতে চায়, তা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। কেউ এমন ফোন পেলে কোনো তথ্য না দিয়ে অবিলম্বে নিকটস্থ থানায় বা ৯৯৯ নম্বরে জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থাতেই কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। এ ধরনের প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
