সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন শর্ত দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই ওয়াশিংটনকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন থেকে সরে আসতে হবে।”
সোমবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র স্বভাবগতভাবে আগ্রাসী এবং আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই তারা গ্রহণ করে না। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটি আমাদের বিবেচনায় আছে। যদি তারা (ইসরায়েলের) ইহুদিবাদীদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো প্রত্যাহার করে নেয় এবং এই অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যুতে নাক গলানো বন্ধ করে, তাহলে আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব।”
ইরানের সঙ্গে একসময় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল, কিন্তু ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লব এবং তার জেরে ইসলাপন্থী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন।
তবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে বিগত দশকগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে গত প্রায় দু’দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটি হলো ইরানের পরমাণু প্রকল্প।
