নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুর শহরে চাঁদা তোলার সময় ইব্রাহিম শেখ (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের জনতা ব্যাংক মোড় এলাকার রায়প্লাজার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। ইব্রাহিম শেখ শহরের হাড়োকান্দি এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শহরের মুজিব সড়ক, জনতা ব্যাংকের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জনি বিশ্বাস কয়েকজনকে রায়প্লাজার সামনে ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা তোলা দেখে ভিডিও করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এ সময় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ওই ব্যক্তিকে আটকিয়ে জেরা করেন এবং কাছে থাকা একটি ব্যাগে নগদ ৪ হাজার টাকা দেখতে পান। তখন তার সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
মামলার বাদী জনি বিশ্বাস বলেন, মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চাঁদা তোলা হয় কি-না জানতে চান। তখনই ইব্রাহিম শেখসহ কয়েকজনকে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়। প্রতিটি দোকান থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০-২০০ টাকা তোলা হচ্ছিল।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মোর্শেদুল ইসলাম আসিফের সঙ্গে। তিনি আমেরিকান প্রবাসী, থাকেন নিউইয়র্কে এবং ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী প্রচারণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শহরকে চাঁদাবাজমুক্ত করব। সেই প্রেক্ষিতে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম, তখনই ওই লোকটিকে টাকা তুলতে দেখা যায়। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো রশিদ বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমার একটাই হুঁশিয়ারি ফরিদপুর শহরে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না, সে যেই হোক।”
এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, “এ ঘটনায় রাতেই চাঁদাবাজির মামলা নেওয়া হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “আটক ব্যক্তি তিতুমীর বাজার বণিক সমিতির লোক দাবি করলেও ফুটপাত থেকে তাঁর টাকা তোলার নিয়ম নেই। সরকার তো ফুটপাত ইজারা দেয়নি। এছাড়া এসপি স্যারের নির্দেশ আজ থেকে ওই এলাকার ফুটপাতে কোনো দোকান বসতে পারবে না।”
