মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

সেই প্রতারক হায়াত খানের নামে অবশেষে ওয়ারেন্ট

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ৩.৩১ পিএম
  • ১৬৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন ব্যবসা, চাকরিরএবং বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক হায়াত খানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ মার্চ) ফরিদপুরের জেলা যুগ্ম জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তশরুজ্জামান এক রায়ে হায়াত খানের ছয় মাসের কারাদণ্ডর আদেশ দেন, একই সঙ্গে তিনি মামলার বাদী মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নেয়া সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন এই হায়াত খান। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর একটি দৈনিকের শেষের পাতায় ওই প্রতারকের ছবিসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘হায়াত খানের প্রতারণায় নিঃস্ব অনেকে’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগীরা তাকে তৎকালীন বহুল আলোচিত প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষমতাশালী ও পদধারি ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজের গুরুত্ব জাহির করতেন হায়াত। দুটি পাসপোর্টের একটিতে তার নাম মো. নাজমুল ইসলাম খান। এনআইডিতে তার স্থায়ী ঠিকানা ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর, স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী।

প্রতারণার শিকার ফরিদপুর সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি একজন পাট ব্যবসায়ী। বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালী থানা থেকে পাট করার সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়েছিলেন হায়াত খান। তার জামানত হিসেবে সম পরিমাণ টাকার চেক দেন। টাকা ফিরে পেতে হায়াতের জমা রাখা চেকটি জমা দিলে ২০২০ সালের ২৪ জুন ব্যাংক তা ডিজ অনার করে। ওই বছরের ২৫ আগস্ট ফরিদপুরের আদালতে হায়াতের নামে প্রতারণার মামলা করেন মো. অম্বিকা মাহবুবুর রহমান ।

আজ ফরিদপুরের জেলা যুগ্ম জজ দ্বিতীয় আদালতে রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত হায়াত খান উপস্থিত না থাকায় তাকে পলাতক উল্লেখ করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। ওই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জাহিদ ব্যাপারী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।

উল্লেখ্য, আসামি হয়াত খান ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি লিখিতভাবে আদালতের কাছে ওই বছরের ২৭ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন যা আদালতে সংরক্ষিত আছে। তারপর সাফাই সাক্ষী প্রদানের নামে, পুনরায় জেরা এবং রিভিউ আবেদন এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সময় ক্ষেপণ করেন।
[3:29 PM, 3/6/2025] +880 1711-031457: বিভিন্ন ব্যবসা, চাকরিরএবং বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক হায়াত খানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ মার্চ) ফরিদপুরের জেলা যুগ্ম জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তশরুজ্জামান এক রায়ে হায়াত খানের ছয় মাসের কারাদণ্ডর আদেশ দেন, একই সঙ্গে তিনি মামলার বাদী মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নেয়া সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বহু মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন এই হায়াত খান। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর একটি দৈনিকের শেষের পাতায় ওই প্রতারকের ছবিসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘হায়াত খানের প্রতারণায় নিঃস্ব অনেকে’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বক্ষব্যাধির প্রখ্যাত ডাক্তার এম এ জলিল তাকে তৎকালীন বহুল আলোচিত প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষমতাশালী ও পদধারি ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজের গুরুত্ব জাহির করতেন হায়াত। দুটি পাসপোর্টের একটিতে তার নাম মো. নাজমুল ইসলাম খান। এনআইডিতে তার স্থায়ী ঠিকানা ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর, স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী।উল্লেখ্য যে, সমকাল ছাড়াও ঢাকা পোস্ট,দৈনিক দেশের কন্ঠ এবং দৈনিক নাগরিক দাবি পত্রিকাতে ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এই প্রতারকের নামে।

প্রতারণার শিকার ফরিদপুর সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি একজন পাট ব্যবসায়ী। বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালী থানা থেকে পাট করার সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়েছিলেন হায়াত খান। তার জামানত হিসেবে সম পরিমাণ টাকার চেক দেন। টাকা ফিরে পেতে হায়াতের জমা রাখা চেকটি জমা দিলে ২০২০ সালের ২৪ জুন ব্যাংক তা ডিজ অনার করে। ওই বছরের ২৫ আগস্ট ফরিদপুরের আদালতে হায়াতের নামে প্রতারণার মামলা করেন মো.মাহবুবুর রহমান ।

আজ ফরিদপুরের জেলা যুগ্ম জজ দ্বিতীয় আদালতে রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত হায়াত খান উপস্থিত না থাকায় তাকে পলাতক উল্লেখ করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। ওই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জাহিদ ব্যাপারী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।

উল্লেখ্য, আসামি হয়াত খান ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি লিখিতভাবে আদালতের কাছে ওই বছরের ২৭ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন যা আদালতে সংরক্ষিত আছে। তারপর সাফাই সাক্ষী প্রদানের নামে, পুনরায় জেরা এবং রিভিউ আবেদন এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সময় ক্ষেপণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION