ঢাকা: বছরের পর বছর পরিবারতন্ত্রের জালে আটকে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল। গতানুগতিক সেই পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশে নতুন যে রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হলো তার নেতা হলেন নাহিদ ইসলাম।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন নাহিদ ইসলাম। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন নাহিদসহ ছয়জন সমন্বয়ককে আটক করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি অফিসে নাহিদ ইসলামের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয় তা সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল সারা দেশে। কোটা সংস্কার দাবিতে শুরুতে হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন পরবর্তীতে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিও ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। সর্বস্তরের মানুষ যুক্ত হয় এই আন্দোলনে। তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। জাতিসংঘের হিসেবে রক্তাক্ত এই অভ্যুত্থান যাত্রায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যান, আহত হন হাজার হাজার। নাহিদের এই যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। সে সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলামের রাজনীতির হাতেখড়ি ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে। পরে নুরের সেই সংগঠন থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সঙ্গে যুক্ত হন। শুক্রবার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ক্ষমতা শুধু কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের হাতে কুক্ষিগত থাকবে না, ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে। জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হয়েছে। এ দেশে কামারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে, এ দেশে কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে।
Leave a Reply