ঢাকাবুধবার , ১৪ মে ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সম্পাদকীয়
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন জাতের বোরোধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি

Doinik Kumar
মে ১৪, ২০২৫ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্বামীর কান্তি বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মাঠে এবার বোরো মৌসুমে বিভিন্ন নতুন জাতের ধান চাষে কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পর চলতি মৌসুমে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে প্রোটিনসমৃদ্ধ, আগাম ফলনশীল ধান চাষ করে কৃষকরা পাচ্ছেন অধিক ফলন ও লাভ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত আগাম জাতের ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, যা কম সময়ে বেশি ফলন দেয় এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এসব ধানের বাজারে চাহিদাও বেশি থাকায় কৃষকরা আগ্রহের সাথে চাষে মনোনিবেশ করেছেন। ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক আরশেদ আলী জানান, “গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে অল্প জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছিলাম। এবার দুই-তিন পাখি জমিতে চাষ করে প্রতি পাখিতে ২০ মণ ধান পেয়েছি। ধানটি চিকন হওয়ায় অন্য ধানের তুলনায় ৪-৫ মণ বেশি ফলন হয়। ১৪০ দিনের মধ্যেই ধান ঘরে তুলতে পারি।”
আরেক কৃষক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আগাম জাতের এই ধান চাষ করে একই জমিতে একাধিক ফসল ফলানো সম্ভব। এতে চিটা বা পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। ধান কাটার পর আউশ ধান এবং পরবর্তীতে আলু, ভুট্টা, সরিষা ও আখ চাষ করা যায়। আমি আগামী বছর এই ধানের চাষ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।”
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, “গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন কৃষককে নতুন জাতের ধান বীজ দেওয়া হয়েছিল, যা থেকে ভালো ফলন আসে। এবার উপজেলার ৫৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ১২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৪১০ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে। গড়ে প্রতি পাখিতে ২০ মণ ধান পাওয়া গেছে।”
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আগামী বছর বোরো মৌসুমে ব্রিধান-৮১ জাতের ধান ৩০-৪০% সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই জাতটি প্রাকৃতিকভাবেই চিকন চাল দেয় এবং মিনিকেটের বিকল্প হিসেবে বাজারে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, এই ধানে প্রাকৃতিক প্রোটিন বজায় থাকে, যা মেশিনে ছাঁটাই করা চালের তুলনায় গুণগত মানে এগিয়ে।
বর্তমানে ইসলামপুর, বহরপুর, নবাবপুর, জঙ্গল, জামালপুর, বালিয়াকান্দি সদর ও নারুয়া ইউনিয়নের মাঠজুড়ে চলছে বোরো ধান কর্তনের ব্যস্ততা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।