এস এম রিমেল
মাত্র ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফরিদপুর-ভাঙা আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন কার্যত এক ‘মরন ফাঁদ’। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী, চালক ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগের অন্যতম প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে সড়কটি। ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ নিয়মিত এই সড়কে যাতায়াত করেন। অথচ বছরের পর বছর ধরে সড়কটি পড়ে আছে চরম অব্যবস্থাপনায়।
পুরো সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত কোথাও বড়, কোথাও গভীর। বর্ষার সময় এসব গর্ত পানিতে ভরে গিয়ে কোথায় গর্ত, আর কোথায় সমতল রাস্তা, তা বোঝার উপায় থাকে না। এই অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
একই গাড়ির চাকা দিনে একাধিকবার পাংচার হওয়া এখন সাধারণ বিষয়। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। ঝাঁকুনির কারণে রোগীদের অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়ছে। অনেকে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
এ অবস্থায় স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছুটা দায়সারা ভরাট কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানান, বর্ষার মধ্যে ইট-বালু ফেলে গর্ত ঢাকার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার ৈদৈনিক কুমারকে বলেন, “সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ ও চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে এখনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে এলেই সংস্কারকাজ শুরু হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুমে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা উপযোগী করে তোলা না গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা আরও বাড়বে। তাই দ্রুত এবং কার্যকর উদ্যোগ চান তারা।
Leave a Reply