নিজস্ব প্রতিবেদক, সালথা

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, “আমার দলের কেউ যদি দখলবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল বা বালুঘাট দখলসহ কোনো অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা এসব থেকে দূরে থাকবেন। কারণ, এসব করলে দলের বদনাম হবে, আর সেই বদনাম আমি বা দল কেউই নিজের কাঁধে নেবে না। এটা আমার পরিষ্কার কথা। তাই ভালো কাজ করবেন, জনগণের পাশে থাকবেন।”

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিএনপি কর্মী সমীর সাহার মায়ের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শামা ওবায়েদ আরও বলেন, “আমি অন্যায়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিই না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও দেন না, তারেক রহমানও দেন না। বিএনপিও প্রশ্রয় দেয় না। সুতরাং, যে অন্যায় করবে সে নিজ দায়িত্বে করবে। বিএনপি এখন সরকারে নেই। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে আমি অনুরোধ করেছি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখতে যেন কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করা হয়। যদি বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে-বাবহ যদি সে আমার ঘনিষ্ঠও হয় বা দলের ঘনিষ্ঠও হয় তাকে আইনের আওতায় আনবেন। এটাই আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য।”

সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আছাদ মাতুব্বর, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুয়েল মুন্সি সুমন, ফরিদপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তৈয়বুর রহমান মাসুদ, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন মাতুব্বর, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন লাবলু, মো. শাহিনুর রহমান শাহিন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ডা. কামরুল ইসলাম, হুমায়ুন খান, মো. রাশেদ মিয়া, মুরাদ মাতুব্বর, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, এনায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, বালাম হোসেন, শাফিকুল ইসলাম, চৌধুরী মামুন, মো. মিরান হোসেন, খোকন মাতুব্বর, আনিসুর রহমান, ইয়াসিন মোল্যা, শ্রমিকদল নেতা কালাম বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা রেজাউল ইসলাম রাজ, সাইফুল আলম, মেহেদী হাসান সোহাগসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।