ঢাকাসোমবার , ১০ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সম্পাদকীয়
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চরভদ্রাসন সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস করেন সপ্তাহে মাত্র একদিন

Doinik Kumar
নভেম্বর ১০, ২০২৫ ৬:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, চরভদ্রাসন

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার দীপা রানী নন্দী প্রায় দুই বছর ধরে সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিসে উপস্থিত হয়ে সমস্ত দাপ্তরিক কার্যাবলী সম্পন্ন করে চলেছেন। সম্প্রতী তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাসা থেকে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে হাজির হয়ে মাত্র একদিনে সারা সপ্তাহের অফিসিয়াল পেন্ডিং কাজ সম্পন্ন করে আবার ঢাকায় ফিরে থাকেন। এতে উপজেলার কৃষক শ্রমিক মজুর ও সাধারন পরিবারগুলো সপ্তাহে মাত্র একদিন জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপে পড়ছেন। ফলে সারা সপ্তাহে জমাকৃত দলিল একদিন সম্পাদনের ভীরে সাধারনরা নির্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত মোটা অংক ব্যায় করে করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন জানান,“ শুধু সাব-রেজিষ্ট্রার কেনো। সপ্তাহে একদিন অফিস করার বিধান কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর নাই। কাজ থাকুক বা না থাকুন, সপ্তাহে ৫দিন রুটিনমত অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, সাব-রেজিষ্ট্রার যাতে নিয়মিত অফিস করেন সে ব্যাপারে আমি তার সাথে আলোচনা করবো”। আর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার দীপা রানী নন্দীকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “ আমি ডিআরও স্যারকে অবগত করে অফিসিয়াল কাজ চালাচ্ছি এবং বর্তমানে শারীরীক কারনে আমার অফিসে কম যাওয়া হয়”।

সোমবার উক্ত অফিস ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অত্র উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ে সপ্তাহে মাত্র একদিন দলিল সম্পাদনের প্রথা চালু রাখা হয়েছে। এতে জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের বাড়ছে ভোগান্তি। সেই সাথে অনিয়ম ও দুর্নীতির কবলে পড়ে গ্রাহকরা মোট অংকের অর্থদন্ডি দিয়ে চলেছেন। এছাড়া সপ্তাহে জমাকৃত দলিলগুলো একদিনে ভীরের মধ্যে সম্পাদন করতে গিয়ে ভুল ত্রুটির শঙ্কা বাড়ছে। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত অফিসের সব কর্মচারীই সপ্তাহে ৫দিন অফিস করে থাকেন। শুধু সাব-রেজিষ্ট্রার ঢাকা থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার আসেন। তাই সপ্তাহের এক দিনই দলিল সম্পাদনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

উক্ত সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের পেশকার গৌতম সাহা বলেন,“অত্র ছোট্ট উপজেলায় সপ্তাহে মাত্র ৩০ খানা দলিল সম্পাদন হয়। তাই উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার সপ্তাতে মাত্র একদিন অফিস করেন। এছাড়া সাব-রেজিষ্ট্রারের জেলাতেও কাজ থাকে বলে তাকে অফিসের বাইরেও থাকতে হয়। তিনি আরও জানান, আপনারা সপ্তাহে ২০০ দলিল দেন, সাব-রেজিষ্ট্রার প্রতিদিন অফিস করবেন”।

একই দিন ভুক্তভোগী এক জমি ক্রেতা হাসেম মৃধা (৬০) জানান,“ ৫ শতাংশ জমি কিনতে গিয়ে মহুরীদের কাছে সমস্ত কাগজপত্র ও টাকা পয়সা দিয়ে সাতদিন বসে থাকতে হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে আসবেন এবং বিকাল ৪ টার মধ্যে জমাকৃত সমস্ত দলিল সম্পাদন করবেন। তাই মহুরীরা ভীরের মধ্যে তাড়াহুরো করে দলিল লেখালিখি করেন। ফলে ভুলত্রটির শঙ্কা থাকে বেশী এবং স্যার চলে গেলে আর দলিল হবে না এই অজুহাতে আমাদের মত মূর্খদের কাছ থেকে মোটা অংশ হাতিয়ে নেওয়া হয়”।

আর উপজেলা পরিষদের পাশের এক বসতি আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষক মনির হোসেন জানান,“ একদিনে তাড়াহুরো করে দলিল সম্পাদনের কারনে আমার প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ মহল ২০২২ সালে একটি ভুঞা জন্ম সনদ তৈরী করে এবং ভারতের এক নাগরিককে দাতা সাজিয়ে আমার বসতভিটের জমির দলিল বানিয়েছে। ফলে উক্ত দলিল গ্রহিতার সাথে আমার এক বছর ধরে বসতভিটের জমি নিয়ে বিরোধ চলমান আছে। তিনি আরও জানান, সেই সময়ের সাব-রেজিষ্ট্রার যদি সময় নিয়ে কাগজপত্র যাচাই করতো তাহলে আজ আমি এতো বড় বিপদে পড়তাম না। সপ্তাহের একদিনে সামান্য অফিস টাইমে সাব-রেজিষ্ট্রার তাড়াহুরো করে দলিল সম্পাদন দেখিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে বলেও তিনি হতাশা ব্যাক্ত করেন”।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।