আগামী বছরের বিশ্বকাপের জন্য আরও ১০ লাখ টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিফা। আজ থেকে শুরু হওয়া নতুন ‘টিকিট ড্র’ পর্বের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ধাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।এই ড্র চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট একটি ‘ডোমেস্টিক এক্সক্লুসিভিটি’ সময় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, এই দেশগুলোর ভক্তরা নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিত ম্যাচের টিকিট কেনার বিশেষ সুযোগ পাবেন। তবে বিশ্বের যেকোনো দেশের ভক্তই আবেদন করতে পারবেন এই পর্বে।
ফিফার টুর্নামেন্টের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেইমো শিরগি বলেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আয়োজক দেশগুলোতে। এই দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সমান সুযোগও দিতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর নাগরিকরা শুক্রবারের মধ্যে এই ড্রয়ে নাম নিবন্ধন করলে তারা এলোমেলোভাবে নির্ধারিত একটি সময়সীমা পাবেন, যার মধ্যে তারা টিকিট কিনতে পারবেন। সেই সময়সীমা শুরু হবে ১২ নভেম্বর থেকে এবং চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ফিফা জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে বিজয়ীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপের বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি টিকিট কিনেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ভক্তরা। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল, স্পেন, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।স্থানীয়দের জন্য বরাদ্দ সময় শেষ হলে ১৭ নভেম্বর থেকে আবার বৈশ্বিকভাবে নতুন টিকিট কেনার সুযোগ উন্মুক্ত হবে। পরবর্তী ধাপগুলোতেও আরও টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে ফিফা।
ফিফা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলের সমর্থকদের কাছে ১০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৪৮ দলের মধ্যে ২৮টি দল নিশ্চিত হয়েছে।
তবে টিকিট বিক্রির শুরু সত্ত্বেও দর্শকদের মধ্যে কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে। দেশটির কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে অনেক বিদেশি সমর্থক অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। সম্প্রতি আর্জেন্টিনা ও পুয়ের্তো রিকোর মধ্যকার একটি প্রীতি ম্যাচও এই কারণে শিকাগো থেকে সরিয়ে ফ্লোরিডায় নেওয়া হয়েছিল, কারণ টিকিট বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
১৬টি শহরের ১০৪টি ম্যাচে মোট প্রায় ৭১ লাখ দর্শক ধারণের সুযোগ থাকবে। এর সব আসন সাধারণ বিক্রির আওতায় আসবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, অন্তত ৪০টি ম্যাচে সর্বনিম্ন টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৬০ ডলার। তবে জনপ্রিয় ম্যাচগুলোর দাম অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ম্যাচের (ইনগেলউড, ক্যালিফোর্নিয়া) টিকিটের দাম শুরু ৫৬০ ডলার থেকে, সর্বোচ্চ ২,৭৩৫ ডলার পর্যন্ত ছিল। এমনকি এক পর্যায়ে পুনরায় বিক্রয় সাইটে একটি টিকিটের দাম দেখা গেছে ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি।
ভক্তরা চারটি ক্যাটাগরিতে টিকিট বেছে নিতে পারবেন। ‘ক্যাটাগরি ১’ সবচেয়ে ভালো আসন, আর ‘ক্যাটাগরি ৪’ স্টেডিয়ামের উঁচু অংশে। প্রথমবারের মতো ফিফা এবার ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ মডেল ব্যবহার করছে, অর্থাৎ চাহিদা ও সময় অনুযায়ী টিকিটের দাম ওঠানামা করবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।