নেইমারের প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এটা সবারই জানা। ফুটবল মাঠে বহুবার প্রমাণ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চাইলে অন্য এক জায়গায় প্রমাণ দিতে হবে সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজির ফরোয়ার্ডকে।
সেটা হচ্ছে ফিটনেসের জায়গায়। ফিট থাকতে পারলে তবেই বিশ্বকাপে জায়গা হবে অনেকটা এমনি জানিয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। সম্প্রতি ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের কোচ বলেছেন, ‘শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় জাতীয় দলে প্রত্যেকে নেইমারকে দেখতে চায়। তার সঙ্গে কথা বলেছি।
আমি তাকে বলেছি, সেরা প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় রয়েছে তোমার হাতে। বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে সহায়তা করতে প্রস্তুত হও।’
তার আগে নেইমারকে শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার কথা জানিয়েছেন আনচেলত্তি। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই নেইমার কেমন খেলে সেটা পর্যবেক্ষণ করছি না আমরা।
সবাই তার প্রতিভা সম্পর্কে অবগত। তবে আধুনিক ফুটবলে প্রতিভার সদ্ব্যব্যহার করতে শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় থাকতে হয়। যদি সে শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় থাকে তাহলে দলে জায়গা পাওয়া কোনো সমস্যা হবে না।’
পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন নেইমার। ফিরে এসে আবার মাঠ মাতিয়েছেন।
কিন্তু মাঠ মাতানো সময়টা দীর্ঘ করতে পারেননি। উল্টো একটু আগ বাড়িয়ে বলা যেতে পারে, মাঠের লড়াইয়ের থেকে বাইরেই বেশি লড়াই করেছেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে তাই এবার আগের থেকে কয়েকগুণ বেশি পরিশ্রম করে ফিটনেসের পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
সেই পরীক্ষায় পাস করে মাঠে ফিরলে ব্রাজিল দলে তার পজিশনও যাবে বদলে। তার পজিশন নিয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘তাকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা স্ট্রাইকার হিসেবে দলে নেওয়া হবে। তাকে মাঝে খেলতে হবে। সে এখন যে অবস্থায় তাতে উইংয়ে খেলতে পারবে না। কারণ, আধুনি ফুটবলে ফরোয়ার্ডদের শারীরিকভাবে যথষ্ট শক্তিশালী হতে হয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সমস্যা ছাড়াই একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারবে।’
শারীরিকভাবে নিজেকের প্রমাণের জন্য ৯ মাস সময় পাবেন নেইমার। আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে বিশ্বকাপ শুরু হবে। তার আগে বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচও পাবেন তিনি। আগামী অক্টোবরে যেমন দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে এশিয়াতে আসবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। আর জাপানের বিপক্ষে ১৪ অক্টোবর।
Leave a Reply