নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গা
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা–খুলনা ও ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের পাশাপাশি রেলপথেও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মুকসুদপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। বিকল্প পথে ট্রেনটি কাশিয়ানী হয়ে বোয়ালমারী–কালুখালী–রাজবাড়ী বা যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বেনাপোলগামী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস এ রুটে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি রেলগেটে আন্দোলনকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন।
এ বিষয়ে গেটকিপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে রেলগেট বন্ধ থাকায় কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারেনি।
ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ সাকিব আকন্দ বলেন, “খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ভাঙ্গায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে ট্রেনটি সেখানে যেতে পারেনি, বর্তমানে মুকসুদপুর এলাকায় অবস্থান করছে।”
ভাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ শাবুর হোসেন বলেন, “অবরোধ চলায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবরোধকারীরা কর্মসূচি না তুলে নিলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে (নগরকান্দা) অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, হাইকোর্টে রিট দায়ের এবং সর্বশেষ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
Leave a Reply