নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এক প্রবাসীর সন্তানকে অপহরণ করে শিশুটির স্বজনদের সঙ্গে থানায় যান এক অপহরণকারী। ওই অপহারণকারীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশের বিচক্ষণতায় নারীসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ৮ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ মেজবাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ভুক্তভোগী মেজবাহ লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের প্রবাসী সালাউদ্দীন মৃধার ছেলে।
অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন— ঘাঘা উত্তরপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল শেখ (৩৬), একই গ্রামের বাবুল লস্করের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), যোগিয়া গ্রামের ভ্যানচালক হানিফের ছেলে জান্নাতুল (২০) ও বাবুল লস্করের ছেলে সাকিব (১৭)।
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে অপহরণের মূল পরিকল্পনা করেন ঘাঘা উত্তরপাড়ার উজ্জ্বল শেখ। তিনি ভ্যানচালক জান্নাতুলকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেন এবং সহযোগী রোজিনা বেগম ও তার ছেলে সাকিবকে মুক্তিপণের টাকা থেকে ঋণ শোধ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু আব্দুল্লাহ স্থানীয় উজ্জ্বল শেখের দোকানে গেলে তাকে দুটি ‘হিস্টাসিন’ ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর জান্নাতুল, রোজিনা ও সাকিবের সহায়তায় শিশুটিকে লোহাগড়া নিরিবিলি পিকনিক স্পটের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখা হয়। সেখানে শিশুটির পাহারায় ছিল রোজিনা বেগম।
ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উজ্জ্বল শেখ শিশু আব্দুল্লাহর স্বজনদের থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ করতে বলেন। উজ্জ্বলের বক্তব্যে অসংগতির কারণে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পরে ওসি শরিফুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) অজিত কুমার রায়, এসআই তারোক বিশ্বাস, আজিজুর তালুকদার ও সঙ্গীয় ফোর্সের বিচক্ষণতা ও তৎপরতায় রবিবার ভোরে নিরিবিলি পিকনিক স্পট থেকে অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, শিশু অপহরণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অক্ষত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আটকের চারজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply