শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন

ফরিদপুরে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ৭.৩১ পিএম
  • ৫৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

হত্যা, চাঁদাবাজিসহ কয়েক ডজন প্রতারণা মামলার আসামি সিকদার লিটনকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুর হোসেন বুলবুলের এপিএস ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পি এম মামুনুর রশিদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজের নেতৃত্বে একটি দল সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পি এম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে কোতায়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। ’

সিকদার লিটন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুলের পিএস ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন এমপির ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন সিকদার লিটন। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে একাধিক হত্যা, হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে করা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি।

২০২০ সালে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সিকদার লিটনকে ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলা বাণিজ্য শুরু করে সিকদার লিটন। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ অনেকের নামে মিথ্যা মামলা করেন তিনি।

এর আগে চলতি বছরের ৫ মে ঢাকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় ফরিদপুর থেকে ডিবি পুলিশ সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। মামলা বাণিজ্যে পারদর্শী লিটনের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিকাশে তিন মাসে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।

পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাবেদ নামে একজন যুবক। নিহতের পরিবারের সঙ্গে লিটনের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও খালাতো ভাই দাবি করে কেরানীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন লিটন সিকদার।

ওই মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হলে নিহত জাবেদের ভাই মাইনুদ্দীন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION