নিজস্ব প্রতিবেদক, মধুখালী
ফরিদপুরের মধুখালী বাজারে উঠেছে নানা জাতের আনারস। আর ক্রেতারাও এসব আনারস কিনছেন বেশ আগ্রহ নিয়েই। কারণ ক্লান্তি দূর করতে টক-মিষ্টি স্বাদের বিভিন্ন ফলের জুড়ি নেই।
সে হিসেবে সকলের কাছে পছন্দের তালিকায় রয়েছে রসালো ফল আনারস। সকালে মধুখালী আখচাষী কল্যাণ ভবনের সামনে দেখা যায়, তিনটি স্থানে ১৫টি থেকে ২০টি ভ্যানগাড়িতে আনারস সাজানো হয়েছে। এগুলো ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করা হবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
একেক স্থানে একেক জাতের আনারস রয়েছে। কোনো আনারস ছোট, কোনোটি মাঝারি আবার কোনো আনারস বড় আকৃতির। তবে অধিকাংশ দেখতে একই রকম পাকা ও লালচে এবং সুমিষ্ট ঘ্রাণ।
বিক্রেতারা জানান, মে-জুলাই মাসে আনারসের মৌসুম হওয়ায় এখন পর্যাপ্ত পরিমানে আনারস পাওয়া যাচ্ছে। আর এখনকার আনারসের অধিকাংশই টাঙ্গাইলের মধুপুরের আনারস। এছাড়া গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার কিছু আনারস বাজারে রয়েছে।
আনারসের দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, খুচরা বাজারে জোড়া এবং সিঙ্গেল উভয়ভাবেই বিক্রি হচ্ছে আনারস। বড় আকৃতির মধুপুরের আনারস প্রতি জোড়া বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ২২০ টাকা। আর বড় আনারস সিঙ্গেল বিক্রি করে থাকেন প্রতিটি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি ও ছোট আকৃতির আনারস ৫০-৬০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে দাম যেমনই হোক দিনভর বেশ ভালোই আনারসের বিক্রি হচ্ছে বলে জানান গোন্দারদিয়া গ্রামের ভ্যানগাড়িতে করে ফলবিক্রেতা মো. আকুব্বর।
তিনি বলেন, এই মৌসুমে গরমের কারণে রসালো ফল আনারসের চাহিদা বাড়ে। তবে আনারসের মৌসুম ও ফল মিষ্টি হওয়ার ফলে সারাদিন বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
মশিউর নামের এক বিক্রেতা বলেন, ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করলেও আমাদের বাড়তি কষ্ট আছে। বেশিরভাগ মানুষই আনারস কেটে নিতে চাইছেন। আবার অনেকেই লবণ কিংবা কাসুন্দি মিশিয়ে দিতে বলেন। আমরাও তেমনই যোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে অন্য সময়ের তুলনায় আনারসের বিক্রি অনেক ভালো বলে জানান তিনি।
