তারকাদের ছবি বা ভিডিও দিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাড়ানো নতুন কিছু নয়। বর্তমানে বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। বিষয়টি প্রতিবাদস্বরূপ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন এই অভিনেতা।
প্রায় সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে দেশে ফিরে একমাত্র সন্তানকে সারপ্রাইজ দেয়ার সেই ভিডিওতে ভেসে উঠেছিল বাবা–ছেলের স্নেহ-ভালোবাসা। কিন্তু সেই মুহূর্তই কিছু মানুষের হাতে হয়ে ওঠে নোংরা আলোচনার বিষয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অপূর্ব।
অপূর্ব আরও লিখেছেন, ‘সন্তানের হাসি-কান্না তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। তারা জানে না আপনি আপনার সন্তানকে যতোটা ভালবাসেন অন্য পিতা-মাতাও তার সন্তানকে ততোটাই ভালোবাসেন। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মত অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন সেই প্রত্যাশা করি।’
অপূর্বর ভাষ্য, ‘আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া কোনো ভুল মন্তব্য করার আগে ভেবে নিন। আপনি যদি সত্য না জানেন, তবে নীরব থাকুন। কারণ, কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির আইটেম নয়।’
অপূর্বর ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে যারা সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি জানিয়ে অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমার সন্তান ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইউটিউব-ফেসবুকে যারা বিভ্রান্ত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যই তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের কেও আইনের আওতায় আনা হবে শিগগিরই।’
সবশেষে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপূর্ব লিখেছেন, ‘এতো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই মিলে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেই। সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।’
Leave a Reply