নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে ফরিদপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মতবিনিময় সভায় ব্যাপক ক্ষোভ ঝাড়লেন পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক গণ। তারা এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন। তারা বলেন, হাসপাতালের কিংবা প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য আবেদন করলে পরিবেশ দপ্তর ব্যাপকভাবে নাজেহাল করে। টেবিলের নিচের ব্যবসায় তারা এতটাই পটু সেটুকু সম্পূর্ণ না হলে কোন কাজই তারা সঠিকভাবে করেন না। এজন্য তারা ফরিদপুরের সিভিল সার্জনকে পরিবেশ অধিদপ্তরকে তার সঙ্গে নিয়ে কাজ করার অনুরোধ করেন।
এসময় কয়েক জন মালিক তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও পরিবেশ অধিদপ্তরে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পায়ের তলার স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে যায়। তারা টাকা পয়সা ছাড়া কোনোভাবে কোন কাজ করতে চান না। আর এ ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা খুশি না হন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নানা ধরনের বিভিন্ন সমস্যা এনে হাজির করেন। আর এভাবেই আটকা পড়ে থাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স। নবায়ন করতে গেলেও একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় বলে তারা সভায় জানান।
বুধবার দুপুরে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এর মালিক গণের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আল-আমিন সারোয়ারের সঞ্চালনায় এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা, ডাঃ এস. এম ইফতেখার আজাদ, ডাঃ নাজমুল হাসান, ডাঃ হাফিজুর রহমান, ডাঃ মামুন হাসান, ডাঃ মোঃ নিয়াজ মোস্তাফি চৌধুরী, ডাঃ মোঃ শাহিনুল ইসলাম, ডাঃ জয়দেব কুমার সরকার, ডাঃ মোঃ মমিনুর রহমান সরকার, আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আওলাদ হোসেন বাবর, মুন ডায়গনিস্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলাউল হোসেন তনু, নুর ডায়গনিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দুলাল সহ ফরিদপুরের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এর মালিক গণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ফরম এর উপরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ (ল্যাব) আশিকুজ্জামান সুজন।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা একত্রে বসে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন।
Leave a Reply