নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের পুরাতন মোহন মিয়া হাটে খাদ্যবান্ধব ডিলার হিসেবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার গুদামঘরের ভাড়ার চুক্তিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লটারিতে তৃতীয় স্থান অধিকারী ব্যবসায়ী নৈমদ্দিন বেপারী (পিতা: মৃত আনোয়ার বেপারী, গ্রাম: তাইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী, গেন্দুমোল্যার হাট, সদর, ফরিদপুর) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ জুন ২০২৫ রোজ রবিবার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সদর ফরিদপুর কর্তৃক খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে একটি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন মো. আফসার খান, দ্বিতীয় স্থান আকমল হোসেন এবং তৃতীয় স্থান পান অভিযোগকারী নৈমদ্দিন বেপারী।
পরবর্তীতে জানা যায়, মো. আফসার খান সরকারি চাকুরিজীবী হওয়ায় তিনি ডিলারশিপ পাওয়ার অযোগ্য হন। বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানপ্রাপ্ত আকমল হোসেনকে ডিলার হিসেবে মনোনীত করা হয়।
তবে অভিযোগকারীর দাবি, আকমল হোসেনের নিজস্ব কোনো গুদামঘর নেই এবং তিনি গুদামঘর ভাড়ার প্রমাণস্বরূপ যে চুক্তিপত্র দাখিল করেছেন, তা জাল। তিনি হান্নান জমাদ্দার নামে এক ব্যক্তির ঘর নিজের বলে দাবি করে এবং হান্নান জমাদ্দারের স্বাক্ষর নকল করে ভুয়া ঘরভাড়া চুক্তিপত্র জমা দেন। অথচ হান্নান জমাদ্দারের ঘর আসলে ভাড়া নিয়েছেন নৈমদ্দিন বেপারী নিজেই।
এ বিষয়ে ঘরমালিক হান্নান জমাদ্দার বলেন, “আমি আকমল হোসেনকে ঘর ভাড়া দিইনি, ঘর ভাড়া দিয়েছি নৈমদ্দিন বেপারীকে।”
এ বিষয়ে জানতে আকমল হোসেনের মুঠোফোনে (০১ ৮৭৫ ৪২৮ ৫৯১) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটিতে ডায়াল করলে স্ক্রিনে Call forwarding দেখায়।
এই বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Leave a Reply