দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক লাখো মানুষের দুঃখ
-
Update Time :
সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ৬.৩৪ পিএম
-
১৫
জন সংবাদটি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক রাজবাড়ী
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আবাসন থেকে ইকরজনা স্কুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, বারুগ্রাম-ইকরজনা সড়ক শুধু স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য নয়, পর্যটনেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারুগ্রাম আবাসন এলাকা ও পাশের বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুরা এখানে ছুটে আসে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সড়কটি। শিক্ষক সোহেল মিয়া ও রুবেল লালন চিশতি বলেন, রাজবাড়ী জেলার অন্যতম সুন্দর জায়গা বারুগ্রাম আবাসন এলাকা। কিন্তু সড়কের দূরাবস্থার কারণে এ অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলেন, এই দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা হলে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের সঙ্গে রাজবাড়ী সদরের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। দূরত্ব কমে যাবে সাত-আট কিলোমিটার।
সম্প্রতি সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বারুগ্রাম আবাসনের সেতু থেকে শুরু করে ইকরজনা স্কুল হয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের আটদাপুনিয়া পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। কিছু স্থানে পানি জমে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন চালকরা বাধ্য হয়ে ছয়-সাত কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইকরজনা গ্রামের কৃষকরা জানান, ফসল কাঁধে করে ঘরে তুলতে হয়। বাজারে নিতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদনে বাড়তি ব্যয় যোগ হচ্ছে। স্থানীয় ইজিবাইক চালক মিনহাজ হোসেন ও নছিমনচালক শহিদ প্রামানিক বলেন, প্রতিদিন সাত-আট কিলোমিটার বেশি ঘুরে যেতে হয়। এতে সময় ও খরচ-দুটোই বেড়েছে।
অটোভ্যানচালক রহমান বলেন, এই রাস্তা ভালো থাকলে রাজবাড়ী যাওয়া সহজ হতো। এখন বহরপুর হয়ে ১৯ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। অথচ সরাসরি গেলে মাত্র ১১ কিলোমিটার। বহরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. শিরিনা আক্তার বিউটি বলেন, ইকরজনার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। আমরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান বলেন, সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। মাটি দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। চলতি অর্থবছর কাজ শুরু করার চেষ্টা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহরপুর ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা সড়কটি নিয়ে আমাদের জানিয়েছেন। গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category
Leave a Reply