ইন্টার মায়ামির হয়ে লিগস কাপ খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার রাতটা শেষ হয়ে যায় মাত্র ১১ মিনিটেই। নেকাক্সার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। চেজ স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ও নেকাক্সার মধ্যকার লড়াইয়ের শুরুতেই হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। বলের গতিপথ থেকে দূরে, বেঞ্চের সামনে মাটিতে শুয়ে পড়েন মেসি। চেহারায় স্পষ্ট কষ্টের ছাপ, ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিং ধরে মালিশ করতে থাকেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে ছুটে আসেন মেডিকেল স্টাফরা। কিন্তু দ্রুতই মেসি বুঝিয়ে দেন, খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এতে সতীর্থদের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টেও ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ।
ম্যাচের দায়িত্বে থাকা কোচিং স্টাফ থেকে হস্তক্ষেপ করেন মেসির সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ হাভিয়ের মাশ্চেরানো। দ্রুতই প্রস্তুত করা হয় বিকল্প খেলোয়াড় ফেদেরিকো রেদোন্দোকে। মেসির বদলে মাঠে নামেন তিনি, আর মিডফিল্ডে কিছুটা এগিয়ে যান রদ্রিগো ডি পল। মেসিকে তখন সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা চলে। খুব শিগগির স্ক্যান করানো হবে তার ডান পায়ে, যা চোটের প্রকৃতি ও গুরুতরতা নির্ধারণে সহায়ক হবে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়কের এমন হঠাৎ চোট পুরো ফুটবলবিশ্বে তৈরি করেছে চরম উদ্বেগ। মেসির পরবর্তী ম্যাচগুলোতে অংশ নেওয়া আপাতত অনিশ্চিত, আর তার সুস্থতা নিয়ে এখন প্রার্থনায় পুরো ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনা সমর্থক মহল।
Leave a Reply