খান মোঃ আঃ মজিদ
এক সময় জনগণের মুখে মুখে ছিল স্লোগান—“পুলিশের জনতা, জনতায় পুলিশ।” কিন্তু এখন এই আস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। যেমন তিন ফোঁটা লেবুর রসে এক কেজি দুধ ছানা হয়ে যায়, তেমনি কিছু অসৎ পুলিশের কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।বর্তমান সরকার আমলে ৩,২২৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এরপরও দুর্নীতি, ঘুষ এবং প্রভাবশালীদের ইন্ধনে পুলিশ প্রশাসনের অনেক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। দিনাজপুর জেলার আব্দুল মজিদ খান অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রী আশা আক্তারকে কেন্দ্র করে একটি সংঘবদ্ধ নারী পাচার ও প্রতারণা চক্র তাকে ও তার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, বোচাগঞ্জ উপজেলার পুরনো গুচ্ছগ্রাম আবাসনের নারী সদস্য মিরা কাশ্মীরি, তার স্বামী মোঃ আলিম, দেহরক্ষী আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরীসহ আরও অনেকে মিলে আশা আক্তারকে ২৬টি স্থানে নারী লোভীদের নিকট অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন। শরিয়ত আইনবিরোধীভাবে একাধিক সংসার, অবৈধ সম্পর্ক ও প্রলোভনের মাধ্যমে আশাকে ব্যবহার করে মজিদ খানকে ঘরছাড়া করে তোলা হয়। এই ঘটনায় তিনি একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। 1. বোচাগঞ্জ থানার মামলা নং: ৪/২৩ ➤ দিনাজপুর আদালতের বিচার ফাইল নং: ১২৯/২৩ ➤ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে: ৩ জনের বিরুদ্ধে । 2. দিনাজপুর কোর্ট সিআর মামলা নং: ২৫৪/২৪ ➤ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি: ২ জনের বিরুদ্ধে। 3. দিনাজপুর কোর্ট সিআর মামলা নং: ৯০১/২৪ ➤ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি: ৩ জনের বিরুদ্ধে। 4. দিনাজপুর কোর্ট সিআর মামলা নং: ২৪৩/২৪। ➤ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি: ৩ জনের বিরুদ্ধে। 5. দিনাজপুর নির্বাহী আদালতের এমআর মামলা নং: ১/২৫ ➤ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি: ৬ জন আসামির বিরুদ্ধে । 6. দিনাজপুর কোর্ট সিআর মামলা নং: ২১৪৭/২৫ ➤ মামলাটি বোচাগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন ➤ তদন্ত কর্মকর্তা: এসআই লিখন কুমার দাস। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার জিডি নং: ২১৯৫/২৪ ➤ বিষয়: নিখোঁজ ডায়েরি। বোচাগঞ্জ থানার জিডি নং: ৩৩৩/২৪ ➤ বিষয়: নিজ ঘরের নগদ টাকা ও অলংকার চুরি সংক্রান্ত।বোচাগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ তারিখ: ➤ ৩০ মে ২০২৫ ➤ ২ জুন ২০২৫। ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ খানের অভিযোগ—উক্ত মামলাগুলোর আসামিদের বেশিরভাগ এখন পলাতক, এবং তাদের এই পলায়নে বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান সরকার, সেকেন্ড অফিসার ওয়াসিম, এসআই শঙ্কর ও এসআই মাহবুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, তারা জানতেন আসামিরা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় অবস্থান করছেন, তবুও কোনো অভিযান চালানো হয়নি। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ, মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগীর প্রশ্ন: > “ছয়টি মামলায় একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? কাদের নির্দেশে তারা পালাচ্ছে?” ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ খান ও এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারের হস্তক্ষেপ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply