শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • Update Time : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ৬.৪৯ পিএম
  • ৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
বুধবার দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক,  সালথা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা।

বুধবার দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে পলাতক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু মোল্যা।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচার আমলে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরপর দুবার নির্বাচিত হন ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই পরিষদের অধিকাংশ বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। অনেক প্রকল্পের কাজ আংশিকভাবে সম্পন্ন করে অবশিষ্ট অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ ইউপি সদস্যদের অবহেলা করেছেন ফারুকুজ্জামান। এর ফলে ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রমে সমন্বয় ও স্বচ্ছতা ব্যাহত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। তিনি পরিষদে না আসায় জনসাধারণ প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

ইউপি সদস্যরা বলেন, বর্তমান অবস্থায় দ্রুত চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া ২০১৬ সালে প্রথমবার এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনপ্রিয়তা হারালেও ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর আশীর্বাদে তিনি পুনরায় মনোনয়ন পান।

এরপর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ভিজিডি, গর্ভবতী ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তৈরিতে ঘুষ নেওয়া, ভিজিএফ-এর চাল বিক্রি এবং টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ওয়ান পার্সেন্ট প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়ি ভাঙচুর মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আরও একাধিক মামলার আসামিও তিনি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION