শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

রাজবাড়ীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, নগদ টাকা লুটের অভিযোগ

  • Update Time : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১১.৩৯ এএম
  • ১৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি:-

দোকানের বাকী টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুরে নরেশ রায় নামে এক মুদি দোকানীর দোকান ভাঙচুর ও মালামালসহ নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার সোলেমান খার ছেলে যুবক রাব্বুল খান (২৫) এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের ঘটনা ঘটে।

 

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী নরেশ অভিযোগ করে বলেন, ‘রাব্বুল খান খারাপ ও উৎশৃঙ্খল প্রকৃতির। তিনি এর আগে আমার দোকান থেকে বাকী খেয়ে টাকা দেন নাই। সোমবার আবার এসে বাকী চাইলে আমার ছেলে আগের বাকী টাকা চায়। তখন আমার ছেলের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে আমি এসে তাকে ঝামেলা না করে বাড়ি চলে যেতে বললে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি ও মারার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ক্রিকেট খেলার একটি স্ট্যাম্প নিয়ে এসে আমার দোকানে হামলা চালিয়ে শোকেজ, চায়ের কাপ ভাঙচুরসহ মালমাল তছনছ করেন তিনি। এ সময় ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩৭ হাজার টাকা ও ১৬ প্যাকেট সিগারেটও লুট করে নিয়ে যান। তখন তিনি আমার ৩ ও ১০ বছর বয়সী দুটি ছেলেকে মারার জন্য তাড়া করেন।’

 

তিনি বলেন, ‘এ ব্যবসা করে আমার সংসার চলে। এখন আমি কিভাবে চলব। এতে আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এখন আমিসহ আমার পুরো পরিবার ভয়ে আছি। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনেও ওই ছেলে ও ওর বাবা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এর আগেও ওই ছেলে আমার দোকানের সাটার কুপিয়েছে। এখন আমিসহ পুরো পরিবার খুব ভয়ে আছি। তাই নিরাপত্তাসহ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাব্বুল খানের সঙ্গে কথা বলতে বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION