দিনাজপুর প্রতিনিধি
গত ১১ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার স্টেশন পাড়া ওই এলাকার সূত্রে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সালাম মুহুরীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিচিত মোঃ রাসেল ও তার কথিত অবৈধ স্ত্রী ডেন্ডি খোর ও দেহ ব্যবসায়ী আলো আর্জিনার বাসায় পাঁচ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আশা আক্তার দেখা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে—কীভাবে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এমন স্বাচ্ছন্দ্যে রাসেলদের বাসায় আসা-যাওয়া করেন?
উল্লেখ্য, মোঃ রাসেল একজন চিহ্নিত পকেটমার ও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা রয়েছে—১/জিআর মামলা নম্বর ৬৯/২৫ এবং ২/সিআর মামলা নম্বর ২১৪৭/২৫। ভুক্তভোগীর দাবি, রাসেল ও তার স্ত্রী আলো আর্জিনাকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে একটি ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণে প্ররোচিত করা হচ্ছে। কারণ রাসেল কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ভুক্তভোগী বাদী আব্দুল মজিদ খান বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের আশঙ্কায় ১২ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, ওসি অসৌজন্যমূলক ভাষায় কথা বলেন এবং বলেন, “আপনি যার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন কেন?” জবাবে মজিদ খান বলেন, “আমি ক্ষতিগ্রস্ত, আমার ১৬ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করে আমাকে পথে বসানো হয়েছে। আমার তিনটি ছোট মেয়ে জান্নাতি, পুলসিরাতে ও মিম আখতার আজ নিঃস্ব। তাদের দোষ কী?”
বাদীর অভিযোগ, তার বক্তব্য শুনে ওসি তাকে অফিস ত্যাগ করতে বলেন। নিরুপায় হয়ে তিনি ফিরে আসেন। তিনি আরও জানান, ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও ৬ জন আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এর প্রতিবাদে তিনি গত ২২ জুন ২০২৫ ইং তারিখে দিনাজপুর নিমতলা প্রেসক্লাব ও ২১ জুলাই সাংবাদিক ইউনিয়ন, দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়দের প্রশ্ন—বারবার সংবাদ সম্মেলন ও থানায় অভিযোগ করেও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না? বিষয়টি যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী বাদী আব্দুল মজিদ খান পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply