সোমবার (২৮ জুলাই) হাই কমিশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ও হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ বছর আইসিসিআর বৃত্তির জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন প্রায় ৫৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের পেশাগত উন্নতির পথেই এগিয়ে যাবেন না, বরং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তোলার সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু পারস্পরিক সহযোগিতার নয়, এটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় উভয় দেশের মানুষের রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি দৃঢ় বন্ধন। এই বৃত্তিপ্রাপ্ত তরুণদের মাধ্যমে সেই বন্ধন আরও জোরদার হবে বলেই আমরা আশাবাদী।’
আইসিসিআর বৃত্তি ভারত সরকারের একটি প্রধান শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি। এর মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভারতের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পান।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ছাড়াও, এই বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে মনে করে ভারতীয় হাই কমিশন।
Leave a Reply