রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

এক্স-রে মেশিন খুলে পড়লো রোগীর ওপর, আহত ৩

  • Update Time : রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১১.০১ এএম
  • ১২ জন সংবাদটি পড়েছেন

  নিজস্ব প্রতিবেদক:-

পরিবারসহ ইতালিতে থাকেন অন্তরা আক্তার (২৮)। দুই মাস আগে দুই ছেলে নিয়ে দেশে আসেন তিনি। পরে কোমর ব্যথার চিকিৎসার জন্য আরামবাগ ডি-ল্যাব নামে একটি ক্লিনিকে যান তিনি। সেখানে ডা. গোলাম সরোয়ারকে দেখালে তিনি এক্স-রে করাতে বলেন।

 

এরপর ক্লিনিকের এক্স-রে টেবিলে সোয়ার কিছুক্ষণ পরই তার ওপর মেশিনের স্ট্যানসহ টিউব খুলে পরে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই ক্লিনিকের আরও দুজন স্টাফ আহত হন। এতে রোগী অন্তরা ঘাড়ে আঘাত পেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের কেসি গোল্ড টাওয়ারের আরামবাগ ডি-ল্যাব নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী অন্তরা আক্তার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী আনোয়ার মোল্লার স্ত্রী। রোগীর খালাতো বোন প্রত্যক্ষদর্শী তানিয়া বেগম বলেন, অন্তরার কোমরে ব্যথার জন্য তাকে নিয়ে আরামবাগ ডি-ল্যাবে ডাক্তার দেখাতে আসি। ডাক্তার এক্স-রে করাতে বলেন। পরে এক্স-রে টেবিলে সোয়ার পরপরই মেশিনটি ভেঙে অন্তরার ওপর পড়ে। তখন হাসপাতালের দুজন স্টাফ ভেঙে পড়া মেশিনটি ধরতে গিয়ে আহত হন। আমিও রুমের ভেতরে ছিলাম, সামান্য আহত হয়েছি। এ ঘটনা আমাদের পরিবারকে জানাই। এতে করে হাসপাতালের লোকজন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। ভুক্তভোগী অন্তরা আক্তার বলেন, এ ঘটনার বিচার চাই। যাতে করে আর কোনো রোগীর সঙ্গে এমন না হয়। আরামবাগ ডি-ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ ফরাজী বলেন, আমাদের ভুল আছে বলেই চুপচাপ সবার কথা শুনছি। টেকনিশিয়ানরা ঠিকমতো ফিটিং করতে পারেনি। তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে রোগীর বেশি কিছু হয়নি। আমাদের স্টাফরা বেশি আহত হয়েছেন। আহত রোগীকে ডাক্তার দেখানোসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শামীম আক্তার বলেন, একটা এক্স-রে মেশিন খুলে পড়বে, এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION