নিজস্ব প্রতিবেদক:-
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক মুদি দোকানির কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন মর্মে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনার সঠিক বিচার না পেলে সপরিবারে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। গতবুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের পূর্বমোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার, লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্বমোড়া গ্রামে জগেশ বিশ্বাসের ছেলে জয়ন্ত বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর একটি চা ও মুদি দোকান রয়েছে। দোকানটিতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল কয়েকজন যুবক বিভিন্ন মালপত্র ক্রয়ের অজুহাতে আড্ডা দেয় ও জয়ন্ত বিশ্বাসের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাাব দিয়ে আসছিল। তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তেঁতুলিয়া গ্রামের হোচেন শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার, কদমী গ্রামের মিঠু মোল্যার ছেলে মো. পলাশ মোল্যা, আ.ওহাব মোল্যার ছেলে আবু সাঈদ মোল্যা, পুতন্তীপাড়া গ্রামের হাসমত মৃধার ছেলে মিরাজুল মৃধা ও একই গ্রামের চুন্নু মোল্যার ছেলে হাবিব মোল্যাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তাদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। গভীর রাতে তাদের দোকান সংলগ্ন বসতঘরে ইটপাটকেল ছুড়ে, দরজা ও টিনের বেড়ায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। বুধবার রাত দেড়টার দিকে দোকান খোলার জন্য দরজায় করাঘাত করলে দোকান না খুলে এক প্রতিবেশীকে ফোনে ডেকে এনে ঘরের মধ্যে কথা বলার সময় উল্লিখিত লোকজন তার দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে জয়ন্ত বিশ্বাসকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় কয়েকজন তার স্ত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘স্বামীকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধা দিলে ওরা আমাকে জোর করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করে ও আমার শ্লীলতাহানি করে। এসময় আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা আমাদের ঘরে তালা মেরে দিয়ে চলে যায় এবং আমাদেরকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে তোদের তালা খোলা হবে।’ জয়ন্ত বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। বিভিন্ন সময় তারা চাঁদা দাবি করে, আমার স্ত্রীর ওপর কুনজর দিয়েছে, এসব নিয়ে গ্রামে সালিশও হয়েছে। যে কারণে তারা সর্বশেষ আমার স্ত্রীকে তুলে নিতে চেষ্টা করে। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। যদি এর সঠিক বিচার না পাই তাহলে আমি আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মহত্যা করবো।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply