নিজস্ব প্রতিবেদক, সদরপুর
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। আমন ধানের বীজতলা, সবজির খেত, মাছের ঘেরসহ কৃষিনির্ভর নানা কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। ফলে কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ পড়েছেন চরম সংকটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ঢেউখালী, আকোটেরচর, চরনাসিরপুর, ভাষানচর, নারিকেল বাড়িয়া, চরবিষ্ণুপুর, চরমানাইর, কৃষ্ণপুর ও সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু এলাকাগুলো অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার শিকার হয়। তবে এবারের টানা বর্ষণে অনেক উঁচু জমিও পানির নিচে চলে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আমন ধানের বীজতলা। বেশিরভাগ ক্ষেতেই চারা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. রাজ্জাক মোল্যা বলেন, “অনেক কষ্ট করে আমনের বীজতলা তৈরি করেছিলাম। এখন সব পানির নিচে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে গেলে সময়, শ্রম ও খরচ—সবকিছুই বাড়বে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় ধাক্কা।” িভাষানচর ইউনিয়নের আরেক কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, “কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমার ১০ শতক মরিচের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোড়ায় পানি দাঁড়িয়ে থাকায় মরিচগাছ পচে গেছে। সবই নষ্ট হয়ে গেল।”
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, “টানা বর্ষণে আমন ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি সরে গেলে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণে কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হলে এলাকার খাদ্য উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
Leave a Reply