রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

সাংবাদিককে অপমান ও দায়িত্বহীন আচরণের অভিযোগ: বোচাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি

  • Update Time : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৯.৩৫ এএম
  • ৮১ জন সংবাদটি পড়েছেন

খান মোঃ আঃ মজিদ ,দিনাজপুর

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান সরকারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতি, অপেশাদার আচরণ এবং সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও চারটি মামলার বাদী আব্দুল মজিদ খান অভিযোগ করেন, ১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তিনি বোচাগঞ্জ থানায় গিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের বিষয়ে কথা বললে ওসি কর্কশ ভাষায় কথা বলেন এবং বলেন, “আমি এই কাজ করব না”। বাদী যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রশ্ন করেন, যদি চারভাগের দুই ভাগ সত্যতা থাকে, তাহলে কি আসামিদের গ্রেফতার করা পুলিশের দায়িত্ব নয়? অভিযোগে আরও বলা হয়, ওসি জাহিদ হাসান সরকার ওই মুহূর্তে বলেন, “আপনি যার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন”, এবং বাদীকে অফিস ত্যাগ করতে বলেন। এতে ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে থানার চত্বর থেকে ফিরে আসেন।

পরে থানার সেকেন্ড অফিসার (সেভেন অফিসার) ওয়াসিম মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বাদী তাকে জানান, ওসি তাঁকে ফেরত পাঠিয়েছেন। এরপর তিনি কল কেটে দেন এবং বাদীর নম্বর ব্ল্যাকলিস্ট করে দেন বলে দাবি করা হয়। ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, সাংবাদিকদের তখনই ব্যবহার করা হয় যখন প্রশাসনের দরকার পড়ে। কিন্তু কাজ শেষে তাঁদের ফেলে দেওয়া হয়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ওসি জাহিদ হাসান সরকার ও অফিসার ওয়াসিম। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসনের এ ধরনের ব্যবহারের ফলে ভুক্তভোগীরা সঠিক সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হন। এ সুযোগে বিবাদী আসামিরা রাস্তাঘাটে হামলা চালানোর সাহস পায়। এমন হামলার একাধিক প্রমাণ থানার পুলিশ জানলেও, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।ভুক্তভোগীর ধারণা, আসামিদের সঙ্গে থানার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে, যা সরকারি-বেসরকারি কল রেকর্ড ও প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে যাচাই করলে বেরিয়ে আসতে পারে।

সেতাবগঞ্জ পৌর ও উপজেলা বাসির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানানো হয়েছে— ৪ টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামিদের ধরছে না কেন। দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটির সত্যতা উদঘাটন করা হোক। থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আচরণ মূল্যায়ন করা হোক। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।

যদি ভুক্তভোগী আবারও হামলার শিকার হন, তাহলে সম্পূর্ণ দায়ভার বোচাগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে বলেও এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION