নিজস্ব প্রতিবেদক, বোয়ালমারী
আসন্ন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান সঞ্জয় সাহা। এ দুই নেতাকে নেতৃত্বে দেখতে চান তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী।
অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপরদিকে, সঞ্জয় সাহা বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের প্রবীণ নেতা ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি আগামী কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। যদিও তার অনুসারীরা তাকেই সভাপতি পদে দেখতে চেয়েছিলেন, তবে এখন তারা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামকেই সভাপতি পদে সমর্থন দিচ্ছেন।
এই অংশের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সিরাজুল ইসলাম সভাপতি হলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সঞ্জয় সাহাই সবচেয়ে উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তি। তাদের মতে, বিএনপির দুঃসময়ে রাজপথে লড়াই করা সাহসী যোদ্ধা ছিলেন সঞ্জয় সাহা। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তিনি মামলা-হামলার মুখে থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বলেন, “সঞ্জয় সাহা একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ, সুদক্ষ সংগঠক এবং চৌকস নেতা। তিনি শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নন, মূল দলের অনেক কর্মসূচির নেপথ্য কারিগর। তার দিকনির্দেশনা, শ্রম ও আর্থিক সহায়তায় চলে দলের বহু কার্যক্রম।”
তারা বলেন, “সঞ্জয় সাহা ছাড়া বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির কোনো কার্যক্রম কল্পনা করা কঠিন। সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে নির্বাচিত করলে সংগঠন হবে আরও শক্তিশালী।”
সঞ্জয় সাহা বলেন, “জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল যখন যা চেয়েছে, তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন দলীয়ভাবে কিছু চাওয়া-পাওয়াও থাকতে পারে। আমি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। বাকিটা নির্ভর করছে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও সমর্থনের উপর।”
অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দলের জন্য আমি কী করেছি, তা নেতাকর্মীরাই ভালো জানেন। আমি চাইতাম খন্দকার নাসির ভাই সভাপতি হোন। তিনি অনুজদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবার আমি সভাপতি পদে দাঁড়াচ্ছি।”
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “আমি রাজপথের নেতা। যুদ্ধ করতে করতেই আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছি এবং আশ্বাসও পেয়েছি। তাই উপজেলা পর্যায়ে তরুণদের সুযোগ দিতে চাই। সভাপতি বা সম্পাদক হিসেবে যাকে যোগ্য মনে হবে, নেতাকর্মীরাই তাকেই নির্বাচিত করবেন। এখানে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।”
Leave a Reply