খান মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ উপজেলার পুরাতন গুচ্ছগ্রাম আবাসন এলাকা থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইউপি সদস্য মীরা কাশ্মী, তার স্বামী আঃ আলিম এবং দেহরক্ষী আঃ মালেক ওরফে চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আসামিদের পলায়নে সহায়তা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তরা প্রতিবেশীসহ একাধিক আসামিকে পালাতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
১. লাইসুর রহমান (পিতা: মফির উদ্দিন)
২. লিপি আক্তার (স্বামী: লাইসুর রহমান)
৩. আশা আক্তার (পিতা: লাইসুর রহমান)
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তার পেছনে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, এ চক্রের পেছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় রয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও তার স্বামী নিয়মিত পলাতক আসামিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে আসামিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিম কার্ড এবং বিকাশ ও নগদ অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের তথ্য বের করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত ফোন কলের রেকর্ড ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ খান অভিযোগ করেন, তিনি ও তার পরিবার নিয়মিত হুমকির মুখে আছেন। প্রকাশ্যে রাস্তাঘাটে হত্যার হুমকিও পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে, এলাকাবাসীর ধারণা, যাঁরা আসামিদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন, তাঁরাই চাইলে আবারো ওই আসামিদের হাজির করতে সক্ষম।
সেতাবগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলা এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, বহু অপরাধের পরও এরা বারবার কীভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে? তাদের পেছনের শক্তি বা ‘খুঁটির জোর’ কে?
Leave a Reply