খান মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর
দিনাজপুরে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এর তিন সদস্য—এসআই মহাসিন, এসআই মোস্তফা খান ও এসআই বাসুদেবের বিরুদ্ধে পাঁচজন আসামির ঘটনায় তদন্তে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সুস্পষ্ট পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আঃ মজিদ খান এই বিষয়ে দিনাজপুর আমলি আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছেন (সিআর মামলা নং ৯০১/২৪ এবং তিনজন আসামির বিরুদ্ধে সিআর মামলা নং ২৪৩/২৪)।
অভিযোগে বলা হয়, মোছাঃ আশা আক্তার (২৬), যিনি সুলতান ছাত্রাবাস ও আকাশ ছাত্র নিবাসে অবস্থান করতেন, তার সংশ্লিষ্টতা থাকা সত্ত্বেও তদন্ত কর্মকর্তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দাখিল করেছেন। সচেতন মহল ও বাদীর দাবি, এই তদন্তে প্রভাব রেখেছে আশা আক্তারের মা লিপি আক্তার, বাবা লাইসুর রহমান, মিরা কাশ্মীরি নামের এক নারী ও তার দেহরক্ষী আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী। অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার সাথে জড়িত আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন।
গত ১১/২/২০২৫ ইংরেজি তারিখে আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটের সময় সেতাবগঞ্জ রেল ঘুনটি শফিকুলের চায়ের দোকানের সামনে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বাদী আব্দুল মজিদ খানের সাথে দেখা করেন পিবিআই এর দুই এসআই মোস্তফা খান ও বাসদব তড়িঘড়ি করে চলে যান গুচ্ছগ্রাম আবাসন ১ নং ইউপি নাফানগর সুলতানপুরে তদন্তের কাজে গেলে ৩ নং আসামি আশা আক্তারের ইন্দন দাতা কুপরামর্শকারী নিজের মা লিপি আক্তার সকল অপরাধের অপরাধী মীরা কাশ্মীরি, আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী, আব্দুল আলিম সহ প্রতিবেশী আসামিদের পক্ষপাতী হয়ে মোটা অংকের টাকায় ঘুষের বিনিময়ে ৩ নং আসামী আশা আক্তারের বাড়িতে স্বামী আব্দুল মজিদ খান কে বলেন পিবিআই এসআই মোস্তফা খান ও বাসদব আপনার বাড়িতে নিয়ে চলেন যাওয়ার পরে আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে আশা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুইটি বাড়ি বিক্রি করা ২৫ হাজার ৪৫ লক্ষ ৫০০ টাকা ব্যাংকের চেক ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাইলে আতঙ্কবোধ মনে করে। পিবিআই দের চোখে ইশারায় আশা আক্তার প্রাচীল টপকে পালিয়ে যায় । পালানোর আগে বাদী আব্দুল মজিদ খান কে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় ঐ সুযোগটাই ব্যবহার করে । ইচ্ছে করলে দুই পিবিআই পুলিশের সামনে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নিজ মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারতেন কিন্তু তারা করে নাই। এই পৃথিবীতে মা বেঁচে থাকতে তিনটি কন্যা সন্তানকে যারা এতিম করেছেন তাদের বিচার দিনাজপুর আদালতেই হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে আশা আক্তার ও ৩ পিবিআই কর্মকর্তাদের সরকারি বেসরকারি ব্যবহৃত মোবাইল সিমকার্ড-এর তথ্য প্রধান সাক্ষী হিসেবে প্রমাণ মিলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । বাদী দাবি করেছেন, ওই সিম নম্বরের কললিস্ট, বার্তা এবং লোকেশন হিস্টোরি অনুসন্ধান করলেই প্রকৃত ঘটনা উঠে আসত। কিন্তু তা না করে, এসব ডিজিটাল প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। এই সিম নম্বরকে এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে বিবেচনায় আনার আবেদন করা হলেও, তা উপেক্ষা করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তদন্ত চলাকালে এসআই মহাসিন ও এসআই মোস্তফা খান বাদীর কাছে নগদ অর্থ এবং তাদের কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েক বান্ডিল কাগজপত্র দাবি করেন। বাদী অভিযোগ করেন, মোটা অঙ্কের অর্থ ও নারীঘটিত প্রলোভনের বিনিময়ে তদন্ত কর্মকর্তারা পক্ষপাতমূলক ও বিভ্রান্তিকর তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন। কেননা তারা ৩ জন নারী লোভী, আশা আক্তারের সাথে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বাঁচানোর জন্য প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকটি ছাত্রাবাস এবং আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে দৈহিক মিলনে জড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী আঃ মজিদ খান বলেন, “এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে আমি মর্মাহত। আমি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিচার দাবি করছি।”
Leave a Reply