নিজস্ব প্রতিবেদক, ভাঙ্গা
কেউ দেখলে মনে হতে পারে দূর-দ্বীপ চীনবাসীর মধ্যে কতগুলো পরিবারের বসবাস। প্রকৃতির সৌন্দর্য ঘেরাও ঘরবাড়ি। বিষয়টি কিন্তু তা নয়। সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন ভাবে গড়ে উঠা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র নতুন পৌরভবন এলাকা পশ্চিম হাসামদিয়া মহল্লার দুঃখ বলে পরিচিত স্থায়ী জলাবদ্ধতার চিত্র। ২৮টি বছর পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সাবেক মেয়র থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় নির্বাচিত ওয়ার্ডের কমিশনারগণ।
ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারের অভিযোগ জলাবদ্ধতার সুখ-দুঃখের চিত্র মাথায় নিয়ে তারা চলছে বছরের পর বছর। জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডা. কাজী আবু ইউসুফ পৌরসভা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ভাঙ্গা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিএনপি চার দলীয় জোট আমলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সময় এএফএম রেজা ফয়েজ পৌর নির্বাচনগুলতে পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিজয় ও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়ায় ফের পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে এএফএম রেজা ফয়েজ আওয়ামী লীগের ১৭ বছর পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু পৌর এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন বা পৌর নাগরিকের সুখ-দুঃখ চিত্র কখনও ভ্রুক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে পৌরবাসীর।
আওয়ামী লীগ শাসিত গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কেউ কোন কথা বলতে পারেনি বলে ভাঙ্গা পৌরসভা উন্নয়নের কোন চিত্র দৃশ্যমান ছিল না।
জলাবদ্ধতা এলাকার বসতি আরিফ মোল্লা বলেন, ভাঙ্গা পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও নুন্যতম কোন সুবিধা ভোগ করতে পারেনি পৌরবাসী। বিগত দিনগুলোতে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করা হলেও চার নাম্বার ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসনে কোন পরিবারের কথায় কর্ণপাত করেনি পৌরসভার দায়িত্বশীল কেউ।
পৌরসভার দায়িত্বরত পৌর প্রশাসক ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা বলে জানান।
Leave a Reply