নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোন গোডাউন না থাকলেও লটারীতে ডিলারশীপ পেয়েছেন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মোহনমিয়ার হাটের আফছার শেখ। রবিবার ফরিদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিলারশীপ লটারী ফরিদপুর সদর উপজেলা হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরসাত জাহানের নেতৃত্বের লটারীর আয়োজন করা হলে ডিলারশীপ জিতে নেন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আফসার শেখ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী আকমাল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আফছার শেখের ঐ অঞ্চলে কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গোডাউন নেই। তিনি ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে গেলে তিনি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউন দেখতে পাননি। এমনকি তিনি সাধারণ ব্যবসায়ী না হয়েও ভুয়া কাগজপাতি দিয়ে অবৈধভাবে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে উক্ত লটারীতে অংশগ্রহণ করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দৈনিক কুমারকে জানান, বিষয়টি সরেজমিনে পুনরায় তদন্ত পূর্বক আফছার শেখের ট্রেড লাইসেন্স এবং লটারীতে প্রাপ্ত ডিলারশীপ বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা দৈনিক কুমারের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন জানান, যদি কেউ জালিয়াতি করে লটারীতে অংশগ্রহণ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিলারশীপ নিয়োগের সভাপতি ইরসাত জাহান জানান, কারো সংশ্লিষ্ট এলাকায় দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে তার তো লটারীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকার কথা নয়, কারন এটা যাচাই বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমেই লটারীতে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৩ (তিন) জন করে লটারীতে নাম নিয়েছি। যদি কেউ অনিয়মভাবে লটারীতে অংশগ্রহণ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ব্যক্তিকে ডিলারশীপ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আফছার শেখের সাথে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ডায়াবেটিক হাসপাতালে চাকরী করেন বলে সত্যতা মিলেছে।
Leave a Reply