রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

  • Update Time : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ৪.২৭ পিএম
  • ৫৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন চমক। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে তিনি বা তাদের পরিবারের অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

শনিবার (২৮ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মূলত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এরিক ট্রাম্প তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

এরিক ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যদি আমার বাবার পথ অনুসরণ করতে চাই, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথ আমার জন্য খুব কঠিন হবে না। তবে বড় প্রশ্ন হলো—আমি কি সত্যিই এই পথে হাঁটতে চাই? আমার সন্তানদেরও কি আমি একই রকম কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে দিতে চাই, যা আমি গত দশকে পেরিয়েছি? যদি এর উত্তর হয় “হ্যাঁ”, তাহলে রাজনীতিতে প্রবেশ আমার জন্য সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, শুধু আমি না—আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই পথ বেছে নিতে পারেন।’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প পরিবারের আরও দুই সদস্য—ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্প ইতোমধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তবে এতদিন পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায় মনোযোগী ছিলেন এরিক। যদিও তার সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে স্পষ্ট—রাজনীতি থেকে তিনি পুরোপুরি দূরে ছিলেন না।

নিজের রাজনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও আত্মবিশ্বাসী এরিক ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি আজ পর্যন্ত অনেক রাজনীতিবিদকে দেখেছি, যাদের অর্ধেকই আমার মনে কোনো ছাপ ফেলতে পারেনি। আমি বিশ্বাস করি, আমি চাইলে এই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারবো।’

২০২৪ সালের নির্বাচনই কি ট্রাম্প পরিবারের শেষ রাজনৈতিক অধ্যায়—এমন প্রশ্নের জবাবে এরিক বলেন, ‘আমি জানি না… সময়ই সব বলে দেবে।’

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্সি থেকে ট্রাম্প পরিবারের আর্থিক লাভের অভিযোগও নাকচ করেন তিনি। এরিক বলেন, ‘যদি কোনো পরিবার রাজনীতি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান না হয়ে থাকে, তবে সেটি আমাদের পরিবার। বরং, আমাদের সম্পদ আরও বেশি হতে পারতো যদি বাবা প্রথমবার নির্বাচনে না দাঁড়াতেন। শুধু রাশিয়া-সম্পর্কিত ভুয়া অভিযোগ আর নোংরা নথিপত্রের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করতে গিয়েই আমরা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছি।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION