সমীর কান্তি বিশ্বাস, রাজবাড়ী
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌবাড়িয়া গ্রামে সম্প্রতি এক নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা দিলীপ সাহা ও তার স্ত্রী শ্যামলী রানী মোদক। দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন স্থানীয় দিলীপ কুমার শর্মার বাড়িতে। তবে বাড়ির মালিক ঢাকায় ঠিকাদারি কাজে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত গ্রামে আসতে পারেন না।
বাড়িটির দেখভালের দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন স্থানীয় মনোজিৎ কুমার শর্মাকে। কিন্তু সেটি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ভাড়াটিয়া দিলীপ সাহা। শুরু হয় নানা কূটকৌশল। অভিযোগ উঠেছে, এরপর পৃষ্ঠা ৪ কলাম ১
ষর পাতায়
স্ত্রী শ্যামলী রানীকে দিয়ে প্রতিদিন মনোজিৎ কুমারকে গালিগালাজ ও মানসিকভাবে হয়রানি করতেন দিলীপ সাহা। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ধাওয়ায় আহত হয়ে দিলীপ সাহাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেও থেমে থাকেনি তাদের কৌশল। এবার তারা পরিকল্পনা করেন ‘রাবণ বধ’ নাটকের মতো একটি সাজানো কাহিনি তৈরি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতানোর। সেই অনুযায়ী, শ্যামলী রানী মোদক স্থানীয় গৃহস্বামী দিলীপ কুমার শর্মাসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক দিলীপ কুমার শর্মা বলেন, “ঢাকায় থাকার কারণে গ্রামের বাড়ির দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি মনোজিৎকে। কিন্তু দিলীপ সাহা ও তার পরিবার মনোজিৎকে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। নানা ষড়যন্ত্র করে বাড়ি থেকে তাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া কাহিনি সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগও দিয়েছে।”
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসাদ জানান, “অভিযুক্ত দিলীপ কুমার শর্মা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, তিনি ঢাকায় থাকেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। সরাসরি কথা বললে প্রকৃত ঘটনা স্পষ্ট হবে।”
পুরো ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত প্রতারণার চেষ্টা, যেখানে নাটকের ছায়ায় বাস্তবে চক্রান্ত সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসানোর অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।
ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply