নিজস্ব প্রতিবেদক, চরভদ্রাসন
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের রহমান প্রামানিকের ডাঙ্গী গ্রামে নির্মানাধীন ২০০ মিটার এইচবিবি রাস্তায় নিম্নমান ইট ব্যাবহারের অভিযোগে গত ১৬জুন একটি সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনে টনক নড়ে। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং রাস্তায় ব্যাবহৃত নিম্নমান ইট সরিয়ে ভালো মানের ইট পূনঃস্থাপন করার ব্যাবস্থা নেন। এতে উক্ত এলাকার সচেতন মহল গণমাধ্যম গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন,“দুর্গম চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা নজর রেখেছেন সেজন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, এসব অনিয়মের সংবাদগুলো প্রকাশ না হলে এলাকায় টেকসই উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হতো না”।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস ছাত্তার বলেন, “এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় ১০দিনের সরকারি ছুটির ফাঁকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন প্রশানের চোখের আড়ালে নির্মানাধীন উক্ত এইচবিবি রাস্তায় কিছু নিম্নমান ইট ব্যাবহার করেছিলে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমরা সরেজিমন গিয়ে ঠিকাদারকে দিয়ে ভালো মানের ইট আনিয়ে ইটগুলো পূনঃস্থাপন করিয়েছি”।
এ ব্যপারে নির্মানাধীন রাস্তার ঠিকাদার কাজী বদরুজ্জামান জানান, “আমি জেলার চারটি ইটভাটা ঘুরে সবচেয়ে ভালো মানের ইট এনে রাস্তাটি পূনঃনির্মান করে চলেছি। ২০০ মিটার অত্র রাস্তাটি গড়তেও প্রায় ১৮ হাজার ইট লাগবে। আসলে আমার সাইডের কিছু লোকজন আমার অজান্তে একটু ভুল করেছিল তা আমি সুদরে দিয়েছি”।
জানা যায়, চরাঞ্চলের যাতায়াত ব্যাবস্থা সুগোম করার লক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থ উপজেলা এলজিইডি গাজীরটেক ইউনিয়নের রহমান প্রামানিকের ডাঙ্গী গ্রামের শেখ ফিরোজের বাড়ী থেকে কাজেমের বাড়ী পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩১০ ফুট বা ২০০ মিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মান কাজটি টেন্ডারমূলে পান ‘ওয়ালী কনস্ট্রাকশন’ নামক পার্শ্ববতী সদরপুর উপজেলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আসন্ন জুন ক্লোজিং সামনে রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছু লোকজন ঈদের ছুটির ফাঁকে এইচবিবি রাস্তায় নিম্নমান ইট ব্যাবহার করে চলেছিল। এ ব্যপারে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনে টনক নড়ে এবং উক্ত রাস্তায় ব্যাবহৃত নিম্নমান ইট সরিয়ে ফেলে ভালো মানের ইট পূনঃস্থাপন করার ব্যাবস্থা করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে উক্ত এইচবিবি রাস্তার তদারকি কাজে দায়িত্বরত (এস.ও) উপপ্রকৌশলী মোঃ সাইফুদ্দিন বলেন,“ভাই, আমি ইসলামিক জীবনযাপন করি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি কাজের পূর্ণ বুঝ না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিকাদারকে এক টাকাও বিল দিবো না। কাজেই থাপিনাপি দিয়ে কাজ করে বিল উঠানোর কোনো সুযোগ নেই”।
Leave a Reply