রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
বোচাগঞ্জে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত, ওসির বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে বোচাগঞ্জে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম: গাঁথুনির কাজ স্থগিতের নির্দেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর নির্বাচন: সভাপতি ও সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কাহারোলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ কর্মী আট বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ  বালিয়াকান্দিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত, নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সালথা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন গ্রেপ্তার চরভদ্রাসনে মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন বালিয়াকান্দি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন এসিল্যান্ড বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন

দীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি বারুগ্রাম আবাসন প্রকল্পের ঘর, মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাসিন্দারা

  • Update Time : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৯.৪১ এএম
  • ৭৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

সোমির কান্তি বিশ্বাস, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্পের চিত্র আজও করুণ। দীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে এখানে নির্মিত ১৮০টি ঘর। টিনের চাল উড়ে গেছে, দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, আর সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে ভিজে যায় বসতঘরের মেঝে। ২০০১ সালে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের অধিকাংশ ঘর এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আবাসন প্রকল্পের সভাপতি আবুল কাশেম মোল্লা জানান, “আমরা আশ্রয় পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি। বেকারত্বের অভিশাপে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।”তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের অধিকাংশ পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছেন। সরকারি ভিজিডি-ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় থাকার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তা পাননি।
সাধারণ সম্পাদক সুজন শেখ অভিযোগ করে বলেন, “এই এলাকায় শিক্ষা একেবারেই অবহেলিত। এখানকার শিশু-কিশোররা এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।” পথঘাটের অবস্থাও বেহাল। কাঁচা রাস্তা দুটি বর্ষায় একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অনেকে পলিথিন মুড়ে বা কাপড় দিয়ে ছাউনি দিয়ে কোনোভাবে বসবাস করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “ঘরগুলো দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় নষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আমরা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
বাসিন্দাদের মতে, এই ঘরগুলো তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হলেও, এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের সুদৃষ্টি ও তড়িৎ পদক্ষেপ ছাড়া বারুগ্রাম আবাসনের জীবনমানের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION