নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকান্দা
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায়, নগরকান্দা পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল সেনিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২ টি উৎপাদক নলকূপের ৫২ লাখ টাকার কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়ে গেছেন ঠিকাদার। এতে ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভার বাসিন্দাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সুপেয় আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য উৎপাদক নলকূপের নির্মাণ কাজ শেষ করার জোর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দা ও নগরকান্দার সচেতন নাগরিক সমাজ।
নগরকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩২ টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল সেনিটেশন প্রকল্পের আওতায় নগরকান্দা পৌরসভায় ১টি উৎপাদক নলকূপের জন্য ৪ বছর আগে নলকূপ স্থাপনের জন্য দরপত্র আহবান করে জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মানিকগঞ্জ। এতে ব্যয় ধরা হয় ২৬ লক্ষ টাকা। দরপত্রে কাজটি পায় খন্দকার এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড মনির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ২১/১২/২০২১ তারিখে কাযাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজটি নির্দিষ্ট সময় শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হয়নি। বারবার সময় বাড়ানো ও তাগিদ দেওয়ার পরেও উৎপাদক নলকূপের ডেভেলপ ও ফিনিশিংসহ অন্যান্য কাজ দীর্ঘদিন যাবত অসমাপ্ত রেখে দিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেবল মাত্র পাইপ বসানো হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ ভাগ কাজ হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলা সদরে নলকূপ কাজ ২৬ লাখ টাকায় কাজ করছে ইয়াকুব নামের ঠিকাদার।
পৌরসভার পাম চালোক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর ধরে কাজ বন্ধ। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৫ হাজার টাকা পাবো। এজন্য বারবার অভিযোগ দিয়ে কোন সূরাহা হয়নি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, আমরা কাজ কাল থেকে শুরু করবো। আমার বরগুনা আরেকটা কাজ চলছে । মেয়র এর জায়গা কিনে সেখানে কাজ করছি।অপর ঠিকাদার ইয়াকুব ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
৫ তারিখের পরে এরা বেশিরভাগই পলাতক। তবে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের। যে কারণে এই সমস্ত কাজ পুনরায় তারা করবে কিনা এ নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ততকালীন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আকবর বলেন কত টাকার কাজ সঠিক বলতে পারবনা।এ কাজে আমাদের কোন হাত নেই টাকা পয়সা বিল তারা মানিকগঞ্জ থেকে উত্তোলন করেছে হয়তো। তবে কাজ না করার কোন অপশন নেই।আমিতো অবসরে আছি।
এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাঈমুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ বিষয়টি অবগত আছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার জন্য কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা থেকেও লোক এসে দেখে গেছে এবং কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ফরিদপুর বিভাগের সুমন রায় বলেন, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরে পাইপের বোরিং শেষ করেছে,কিন্তু বাকি কাজ করেননি। এজন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, কার্যদেশ বাতিলের জন্য।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবির বলেন, এবিষয় আমার জানা নেই তবে কার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় এ কাজ হচ্ছে তাদের সাথে কথা বলেন।এভাবে কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার পার পাবেনা।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
