খাঁন মোঃ আঃ মজিদ
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা মোঃ আঃ মজিদ খান তার ছেলের কথিত স্ত্রী মোছাঃ আলো আরজিনা ও তার সঙ্গীদের হাতে একের পর এক হুমকি ও হামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর রাত ১০টার পর মোছাঃ আলো আরজিনা একটি ভিডিও ফুটেজে বলেন, “আপনার ছেলের সাথে আমার বিবাহ হয়েছে। আমি অবিবাহিত ছিলাম। আপনার ছেলে রাসেল আমাকে ভালোবাসতো, সেই ভালোবাসার টানে আমি তার সাথে চলে এসেছি। আপনি যদি মেনে নেন, তবে জীবন সংসার করবো।”
উত্তরে আঃ মজিদ খান বলেন, “তোমাদের সম্পর্ক কতদিন ধরে?” আলো আরজিনা জানান, “৩-৪ মাস।”
ছেলে রাসেলের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবিক কারণে আশ্রয় দেন আঃ মজিদ খান। শুরু হয় তাদের সংসার। তবে ১৫ দিন পর আঃ মজিদ খান জানতে পারেন, আলো আরজিনার আগেও বিয়ে হয়েছে এবং তার প্রথম স্বামী কৃষ্ণা নামে একজন পুরুষ, যার সাথে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
এই তথ্য গোপন রেখে রাসেলের সঙ্গে অবৈধভাবে সংসার করছিলেন আলো। পরে শরিয়ত মোতাবেক ঘরোয়া ভাবে বিয়ে করলেও কাজী জানতে পারেন, আলো তার আগের স্বামীকে তালাক দেননি। ফলে বৈধ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আলো আরজিনা ও রাসেল খান। শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি।
পরবর্তীতে, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে আঃ মজিদ খান বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফ হাসান ও বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হাসান সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, তাকে এলাকার কিছু বখাটে ছেলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ভাঙা মিলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
পরে বোচাগঞ্জ থানায় বিষয়টি ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা ওয়াসিম আপস-মীমাংসা করে দেন।
কিছুদিন পর আলো আরজিনা আঃ মজিদ খানের বাড়ির অর্ধেক জমির ভাগ দাবি করেন। তিনি বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করলে রাসেলকে উসকে দিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। রাসেল ও আলো মজিদের বাড়ি থেকে বের হয়ে দিনাজপুর শহরে এক ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আঃ মজিদ খান দিনাজপুর কোর্টে গেলে রেল স্টেশনে আবারও কিছু বখাটে ছেলেরা তার উপর হামলা চালায়। তিনি দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় ওসি আঃ মতিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে আলো আরজিনা সেতাবগঞ্জ রেল কলোনিতে ভাড়া বাসায় অবস্থান করে রাসেলকে লুকিয়ে রাখেন এবং আঃ মজিদ খান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন যার নং ৬৯পি/২৫ দায়ের করেন। মামলায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ভরণপোষণ দাবি করা হয় এবং রাসেল ও আলো আরজিনা সহযোগীদের বিরুদ্ধে সমনজারি হয়।
পরবর্তীতে ৩ মে ২০২৫ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সফিকুলের চায়ের দোকানে আঃ মজিদ খানকে দেশীয় অস্ত্র চাপটি দিয়ে টুকরো করে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয়।
১৩ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবারো ভিডিও কলে ৫ লক্ষ টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ১৬ মে দুপুর বারোটায় অডিও কলেও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
বর্তমানে আঃ মজিদ খান পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
