খাঁন মোঃ আঃ মজিদ, দিনাজপুর
মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, শিশু পাঁচার, বিভিন্ন সময়ে পুরুষদের প্রলোভনা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত মোসা. আশা আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশা আক্তারকে তার বর্তমান (৪নং) স্বামী একাধিকবার তাকে সঠিক পথে ফেরাতে চেষ্টা করলেও, স্বামীর কাছ থেকে ১৬ লক্ষ ৯ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করে এবং সাত বছরে সাতবার ঐ স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন। তিনি দিনাজপুর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং অভিযুক্ত। বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা ও সখিপুর থানার বেলটলি ডাকঘর চিতেশ্বরী পাক দরবার সংলগ্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, শিশু পাঁচার, বিভিন্ন সময়ে পুরুষদের প্রলোভনা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সক্রিয়ভাবে দেখা গেছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশা আক্তার একাধিক স্বামীর পরিত্যক্তা এবং নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হর হামেশাই অপরাধ করে চলেছেন।
সম্প্রতি আশা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দুই শিশুকে অপহরণ করেন। এ বিষয়ে দিনাজপুর কোর্ট আদালতে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর: ২১৯৫/২৯/১/২৪) করা হয়েছে। এছাড়াও, বোচাগঞ্জ থানায় আরও একটি জিডি করা হয়েছে (জিডি নম্বর: ৩৩৩/০২/৭/২৪)।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। বোচাগঞ্জ মামলা নং: ৪/২৩, দিনাজপুর কোর্ট মামলা নং: জিআর নং: ১২৯/২৩, সিআর নং: ৯০১/২৪, সিআর নং: ২৫৪/২৪, দিনাজপুর নির্বাহী কোর্ট মামলা নং: ৯২পি/২৪, ১২৯/২৩ মামলায় ২৫/৩/২৫ তারিখে ওয়ারেন্ট জারি। ৯০১/২৪ মামলায় ২৪/৩/২৫ তারিখে সমন জারি। ২৫৪/২৪ মামলায় ৬/৪/২০২৫ তারিখে সমন জারি। ২৫/৩/২৫ তারিখে তিনজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আশা আক্তার নিজেই তার স্বামীর কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি শিশু পাচার ও মাদক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তার এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই স্বামী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে, এতদিনেও প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
ভুক্তভোগী বাদী এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সত্যতা যাচাই এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে সুবিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভুগীরা।
