নিজস্ব প্রতিবেদক, বালিয়াকান্দি
রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহরপুর ডিগ্রী কলেজের একজন প্রভাষক অভিযোগ করে জানান, ২০১৮ সালের মে মাসে সাবেক অধ্যক্ষ মো: ওহিদুজ্জামান অবসরে যান। দীর্ঘ ৭ বছর অবসরে গেলেও তার নেতৃত্বে কলেজের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সাবেক অধ্যক্ষ অবসরে গেলেও কলেজের সামগ্রিক আর্থিক সুবিধা তিনি গ্রহণ করছেন। একাডেমিক বিষয়ে তার একক সিদ্ধান্ত বলবৎ রয়েছে। তার নিজের বাড়ি তেতুলিয়া গ্রামে থাকলেও মাগুরায় দ্বিতীয় তলা ভবন নির্মাণ ও রাজবাড়িতে রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়া বরিশাল বাসা ছাড়াও বিভিন্ন অর্থ সম্পদের মালিক বুনে গেছেন এই সাবেক অধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ কোন করলে তিনি চাকরি চ্যুতির ভয় দেখান।
শিক্ষকেরা কলেজ সংক্রান্ত কোন পরামর্শমূলক কথা বললে তিনি অকারনেই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এ কলেজে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এলাকার স্থাণীয় ফিরোজের স্ত্রী জান্নাতারা বেগম চাকরি না করার স্বার্থে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।
লাইব্রেরিয়ান আবু জাফর সিরাজি অবসরে যাওয়ার পূর্বেই নতুন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের চুক্তি সম্পূর্ন করেছে এই সাবেক অধ্যক্ষ। এপিএ-এর জেষ্ঠ্য প্রভাষক এর পদ সৃষ্টি হওয়ার পরেও পাঁচ জন প্রভাষক এর পদ আটকিয়ে রাখা হয়েছে তিন বছর আগে। প্রতি মাসে এদের ১২ হাজার টাকা, বর্তমানে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই ভুক্তভোগীরা। ৩০০ থেকে ৪০০ ছাত্রছাত্রীর বেতনের সিংহ ভাগ খরচ হয় বর্তমান অধ্যক্ষের পিছনে। অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারই আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তি খায়রুল হাসান মিন্টুকে। উপধ্যাক্ষ ফায়জুর রহমান বাচ্চু এই দুই ব্যাক্তি কে দিয়ে কলেজের সমস্ত কাজ কর্ম করার অভিযোগ উঠেছে। এর পিছনে রয়েছে সাবেক আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত নেতাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধন।
জনৈক প্রভাষক আরো বলেন এই সাবেক অধ্যক্ষ অবসরে গেলেও প্রতি মাসে কলেজ থেকে ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক লোপা, ভুগোলের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফারজানা ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক শিহাব উদ্দিন সাবেক এই অধ্যাক্ষের রোসানলের শিকার।
Leave a Reply