রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

নগরকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ার প্রকোপ

  • Update Time : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ৯.৪০ এএম
  • ১১৪ জন সংবাদটি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকান্দা
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গিয়ে দেখা যায়, ২১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর আগে গত ১৫ দিনের ২শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডায়রিয়া আক্রান্ত অধিকাংশ শিশুর বয়স দুই থেকে তিন বছর। এমন শিশু আছে, যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়া দুইবার আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের নার্স ও পরিছন্নকর্মীরা জানান, একদিকে রোগীর  চাপ, অন্যদিকে জনবল সংকট। রোগীদের জায়গা সংকলনেও সমস্যা হচ্ছে। সব মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ডায়রিয়া রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে মাত্র ৫০ টি বেড রয়েছে। অনেক সময় এক বেডে একাধিক রোগী বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকে মেঝেতে সজ্জা  পেতে এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ৩
চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা কোন কক্ষ না থাকায় একই কক্ষে অন্যান্য রোগীর সাথে তাদেরকেও রাখতে হচ্ছে। এমনকি নারী-পুরুষ কক্ষ সংকটের কারণে একই সাথে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালে জায়গা সংকুলন না হয় অনেকেই মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে দুভোগ বেড়েছে  রোগী ও রোগীদের সাথে আসা অভিভাবকদের।
নগরকান্দা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার( আর এম ও) অভিজিত কুমার বলেন, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ বেড থাকলেও প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১ শ’জন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এছাড়া বহির্বিভাগে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জয়দেব কুমার সরকার জানান, হঠাৎ করে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। কলেরা স্যালাইন সংকট থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে স্যালাইন এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অস্থায়ী ভবনে সিটের সংকট থাকায় এবং ডায়রিয়া রোগীর আলাদা কোন কক্ষ না থাকায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION