খান মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ১নং নাফানগর ইউনিয়নের বড় সুলতানপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসন এলাকায় মাদকের ব্যবসা এখন ওপেন সিক্রেট। প্রশাসনের নাকের ডগায়堂堂 চলছে মাদক ও দেহ ব্যবসার রমরমা বাণিজ্য। অথচ মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কেবল চুনোপুটি মাদকসেবী ও বাহকদের। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ ও প্রশ্ন—প্রশাসন আসলে কি দেখে না, নাকি দেখেও না দেখার ভান করে?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মীরা কাশ্মীরির স্বামী মোঃ আলিম, মোঃ আঃ মালেক ওরফে চৌধুরী (পিতা মৃত মসির উদ্দিন), মোঃ দুলাল (পিতা মৃত হামিদ), স্থানীয় গ্রাম পুলিশসহ নাম না জানা আরও অনেকেই। অভিযোগ আছে, এই চক্র কেবল মাদক ব্যবসাই নয়, তরুণীদের ব্যবহার করে দেহ ব্যবসার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়। ফলে এলাকা ধ্বংসের মুখে—যুবসমাজ হারাচ্ছে ভবিষ্যৎ, জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে।
৩৬৪টি মাদক স্পট :
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৩৬৪টি চিহ্নিত মাদক স্পট ও জুয়ার আসর। এসব স্থানে প্রতিদিন অবাধে চলছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, টপেন্ডা, ডিসিপিন-২ সহ বিভিন্ন ধরনের উত্তেজক ও ঘুমের ওষুধের ব্যবসা এবং জুয়া খেলার আড্ডা। অথচ এসব স্পট ও আসর বন্ধে প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যায় না, বরং নিরব ভূমিকা পালন করছে তারা।
মিনি বাজারে ফার্মেসিতেই মিলছে মরণ নেশা :
সেতাবগঞ্জ পৌরসভা অধীনে রয়েছে ৯টি ওয়ার্ড এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে রয়েছে ৯টি করে ওয়ার্ড। এসব এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট মিনি বাজারে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ফার্মেসি ও ওষুধের দোকান। অভিযোগ আছে, এসব দোকানে খোলামেলাভাবে বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশার ওষুধ—যেমন টপেন্ডা, ডিসিপিন-২, ট্রামাডলসহ বিভিন্ন শক্তিশালী ট্যাবলেট ও ইনজেকশন। কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে, প্রশাসনের তদারকি বলতে গেলে নেই।
ভারত থেকে আসছে মরণ নেশা, বেড়েছে অপরাধ
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে আসছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। সেগুলো স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে। ফলে এলাকায় বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, কালোবাজারি, দুর্নীতি—প্রতিদিন ঘটছে নতুন নতুন অপরাধ। অথচ এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান বা নজরদারি নেই, যা জননিরাপত্তার ওপর বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
প্রশাসনের নিরব ভূমিকা, জনমনে ক্ষোভ :
স্থানীয়দের অভিযোগ, বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ এসব অপরাধ সম্পর্কে অবগত হলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযানে ছোটখাটো মাদকসেবীকে আটক করেই দায়িত্ব শেষ করছে তারা। মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
সরেজমিনে তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি :
এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সঠিক ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ সেতাবগঞ্জ পৌর ও বোচাগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণ। একইসাথে তারা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
