ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সম্পাদকীয়
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জমি কিনে বিপাকে, মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে ২৯ পরিবারের মানববন্ধন

Doinik Kumar
এপ্রিল ২৯, ২০২৫ ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর

চাঁদার টাকা না পেয়ে ২৯টি হিন্দু পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে ফরিদপুরে। গতকাল সোমবার সকালে শহরের শোভারামপুর মহল্লার স্লুইস গেট জেলে পট্টিতে এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের সাথে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, প্রায় দুই যুগ আগে তারা নিম্ন আয়ের এসব পরিবার শোভারামপুরের মৃত সুধেন্য সাহার দুই ছেলে সুনীল সাহা ও সুকুমার সাহার নিকট থেকে বৈধভাবে রেজিস্ট্রি দলিল করে জমি কিনে ওই জমির নামপত্তন করে ঘর তুলে বসবাস করছেন। কিন্তু ওই জমির আরেক ওয়ারিশ সন্তোষ সাহা ও তার ছেলে আনন্দ সাহা তাদের কাছে অন্যায্যভাবে টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তারা এর প্রতিকার দাবি করেন।
নীল রতন মালো (৫০) নামে একজন জেলে বলেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাছ বিক্রি করে টাকা জমিয়ে তিনি কুঁড়ি বছর আগে তাদের নিকট থেকে দশ শতাংশ জমি কিনে সেখানে ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আইন-আদালত তিনি বুঝেন না। এখন শুনতেছি কোর্টে মামলা করছে। আমি এখন এই মামলার পিছনে দৌঁড়াবো নাকি মাছ বিক্রি করে সংসার চালাবো?
হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন নিরঞ্জন দাস (৬৫)। তার স্ত্রী বীণা দাস (৫৫) বলেন, আমার স্বামী এই মামলার কথা শুনে স্ট্রোক করছে। আমরাতো কোনদিন এই মামলা মোকদ্দমায় জড়াই নাই।
দোকান কর্মচারী মহাদেব সাহার (৪৩) স্ত্রী টুম্পা সাহা (৩৫) বলেন, আমরা সুকুমার সাহা ও সুনীল সাহার নিকট থেকে জমি কিনেছি প্রায় ২৫ বছর আগে। এখন ক’দিন আগে সন্তোষ সাহা ও তার ছেলে আনন্দ সাহা আমাদের কাছে এসে বলে- এই জমি নিয়ে ভ্যাজাল আছে। জমি পাইতে হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। আমরা সেই টাকা না দেওয়ায় আমাদের ২৯টি পরিবারের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করেছে। সজল দাস (৩৮) নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, আমরা জমির মালিকের নিকট থেকে বৈধভাবে এসব জমি কিনছি। আমরা কেস মামলায় যাইতে চাইনা। আমরা এর সমাধান চাই।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সুনীল সাহা ও তার ভাই সুকুমার সাহা বলেন, বাবার মৃত্যুর পর তারা ৩ একর তেত্রিশ শতাংশ জমি ৩ ভাই হারাহারি অংশে ভাগ করে এসএ রেকর্ডও করে নেন। এরমধ্যে তার ভাই সন্তোষ সাহা বড় ভাই সুনীল সাহার নিকট ৩৫ শতাংশ জমিও বিক্রি করেন। তবে বিএস রেকর্ডে তার আরেক ভাই সন্তোষ সাহার ২০ শতাংশ জমি পানি অবদার নামে রেকর্ড হয়। এখন সন্তোষ সাহা ওই জমির স্বত্ব উদ্ধারের মামলা না করে এসব পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলা করেছে।
তিনি বলেন, জমির বুঝ পেতে হলে তার ভাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। কিন্তু এসব দরিদ্র পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের হয়রানি করার জন্য।
এব্যাপারে জানতে সন্তোষ সাহার ছেলে আনন্দ সাহা বলেন, তার বাবা-চাচারা উত্তরাধিকার সূত্রে ২ একর ৭৫ শতাংশ জমি পান। এর মধ্যে তার বাবা বর্তমানে মাত্র ৪০ শতাংশ জমির দখল বুঝে পেয়েছেন। বাকি জমি উদ্ধারের জন্য তিনি আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেছেন। ওই মামলায় আদালত জমির অন্য শরিক ও বর্তমান মালিকদের হাজির হতে নোটিশ দিয়েছে। এতেই তারা আমাদের বিরুদ্ধে এসব বলছে এখন। তার কাকা সুনীল সাহার নিকট তার বাবা জমি বিক্রি করেননি বরং অ্যাওয়াজ বদল করে নিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।