নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকান্দা
জোরপূর্বক জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মালেকা খাতুন (৩৮) , নুরজাহান বেগম (৪৩) এবং মো. সুমন মল্লিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলা নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
শুধু মিথ্যা মামলাই নয়, কয়েক দফায় হামলাও চালিয়েছে জমির প্রকৃত মালিকের উপর।
ভুক্তভোগী মোসা. সুমি জানান, এলাকার সৈয়দ নিজাম উদ্দিনের কাছ থেকে আমরা ফরিদপুরের নগরকান্দা থানাধীন ১২৮নং গোপালপুর মৌজার বি.এস-১০০৮ নং খতিয়ানের মোট ১১২.৫ শতাংশ জমির মধ্যে আমার স্বামী মো. রিয়াজুল ১২.২ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমির মূল মালিক সৈয়দ নিজাম উদ্দিন আমাদের জমি বুঝিয়ে দিলেও পাশে থাকার মালেকা খাতুন, নুরজাহান বেগম এবং সুমন মল্লিক আমাদের জমিতে কোনভাবেই যেতে দিচ্ছে না। বরং এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারীদের নিয়ে একজোট হয়ে আমাদের ঐ জমিতে আসতে দিচ্ছে না। আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও খুব বাজেভাবে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আমার স্বামীকে থানায় ধরিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে ঐ জায়গা অবৈধভাবে ঘর তৈরী করেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে জমির বর্তমান মালিক মো. রিয়াজুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি সৈয়দ নিজাম উদ্দিনের কাছ থেকে ১২.২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। মালেকা-সুমন গংরা আমাদের এলাকার দূস্কৃতিকারীদের নিয়ে আমাদের কয়েক দফায় হামলা করেছে। আমার স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাতও করেছে। কয়েক দফায় শালিসে বসার কথায় থাকলেও তারা শালিসে অনুপস্থিত ছিল। বরং আমাদের অকারণে বাজেভাবে মামলা দিয়ে হয়রনি করছে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নিজাম উদ্দীন দৈনিক কুমারকে জানান, ডা. মো. রিয়াজুল আমার নিকট থেকে বৈধভাবে ১২.২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু মালেকা-সুমন গংরা এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারীদের নিয়ে তাদের জমির ওপর হামলা মামলা করছে। বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। আমরা শালিসের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মালেকা ও সুমনরা ঐ শালিসে উপস্থিত ছিলেননা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা শালিসের আয়োজন করেছি। ইনশাল্লাহ সমাধান হয়ে যাবে।
রামনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন প্রামাণিক এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি যতদূর জানি মালেকা এবং রিয়াজুলদের মধ্যে জমি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তা তৃতীয় পক্ষের জন্য। কুটি মল্লিক নামে একজন ঐ জমির দখলে ছিল। তবে ঐ জমি ডা. মো. রিয়াজুল বৈধভাবে ক্রয় করেছে। বিষয়টি যেহেতু আইনগতভাবে আগাচ্ছে আমার মতে আইনের মাধ্যমে সমাধান করাই ভালো। যদিও আমরা কয়েকবার শালিসের মাধ্যমে বসার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু মালেকা গংরা বসতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লাল মিয়া ফকির জানান, মালেকা গংরা শুধু রিয়াজুলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ওরা আমার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল। কোন কারণ ছাড়াই ওরা মিথ্যা মামলা দিয়ে ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। এধরণের লোকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে সাধারণ মানুষ হেনস্তার শিকার না হয়।
Leave a Reply