বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
শিক্ষকের জীবনমান উন্নয়ন ও একীভূত শিক্ষা কাঠামো : টেকসই শিক্ষাব্যবস্থায় অতীব জরুরি  যুব দিবসে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তির বিকাশে একসঙ্গে কাজের আহ্বান চরভদ্রাসনে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ফরিদপুর চিনিকলে কর্মকর্তাদের চারদিন ব্যাপী চাকুরিকালীন ইনহাউজ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত মধুখালীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত সাবেক এমপি চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সদরপুরে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা উত্তাল পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয় রাজবাড়ীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ নড়াইলে চাঁদা না দেওয়ায় বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম অপকর্ম দেখে ফেলায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় সোয়েবকে

পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়ছে না দাম, দুশ্চিন্তায় পাট চাষিরা 

  • Update Time : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১১.৩৮ এএম
  • ১৮২ জন সংবাদটি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সালথা
বছর যাচ্ছে আর সোনালী আঁশ পাটের আবাদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তবে বাজারে বাড়ছে না পাটের কাঙ্খিত হারের দর। পাট চাষাবাদে খরচের সাথে বিক্রয় মূল্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় চাষিরা। গত বছর প্রকার ভেদে প্রতিমণ পাট ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে উৎপাদন ব্যয় আর বিক্রয় মূল্য ছিল সমান সমান। যে কারণে পাট চাষিদের চোখে-মুখে ছিল না হাঁসি।
পাট উৎপাদনে দেশের র্শীষ অবস্থানে ফরিদপুর। আর ফরিদপুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাট আবাদ হয় সালথা উপজেলায়। এবারও এ উপজেলায় অন্তত ১২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে পাট চাষাবাদ করা হয়েছে। যা মোট কৃষি জমির ৯০ শতাংশ। তবে চলতি মৌসুমে পাটের আবাদে সর্বক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। চাষিদের দাবি, এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ। তাই পাট উৎপাদন খরচের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে কৃষিবিভাগের সহযোগিতা চান স্থানীয় পাটচাষিরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সালথা উপজেলার মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে নেয়ার পর বর্তমানে পাট আবাদ নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে বীজতলা থেকে পাটের চারা বের হতে শুরু করেছে। আর যারা আগাম বীজ বপণ করেছিলেন, তাদের ক্ষেতের পাটের চারা দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা হয়েছে। বর্তমানে পাটচাষিরা কেউ পাটের ক্ষেতে সেচ দিয়ে ভেজাচ্ছে, কেউ বা ক্ষেত থেকে আগাছা পরিস্কারের কাজ করছেন।
তবে শুকনো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানির দুষ্প্রাপ্যতাসহ পাট চাষের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় সকল ধরনের উপকরণ ও শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় সকলের চোখে-মুখেই হতাশার ছাপ দেখা গেছে।
সালথার পাটচাষি সহিদ মিয়া জানান, গত কয়েক বছর ধরে ভূগর্ভস্থরের পানির স্তর নিচে নামছে। সংকট এমন পর্যায়ে যে অনেক মেশিনেই পানি উঠছে না। তাই জমিতে সেচ দিতে খরচ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। সেই সাথে সার-ওষুধের দাম তো বাড়ছেই। যে কারণে ব্যয়ের সাথে আয় মেলাতে না পেরে হাপিয়ে উঠছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার জানান, বীজ বপণের সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকদের নিজ খরচে সেচ প্রদান করতে হয়েছে বিধায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে পাট জাগে সমস্যা হবে না। পাটের দাম ভাল সন্তোষজনক পেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে বৈরী আবহাওয়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি করে। তবে ভালভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে পারলে ব্যয়ের হার কিছুটা কমবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmitsolution_16012
© All rights reserved © 2025
Developed By : JM IT SOLUTION