নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকান্দা
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং ঢাকা মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক এসএসসি সমমান দাখিল পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে। উপজেলায় মোট ১৪১৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। গত ১৭ এপ্রিল দাখিল পরিক্ষার্থীদের গণিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কোদালিয়া শহীদনগর আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের দাখিল পরিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, গণিত পরিক্ষার দিন পরিক্ষা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাধারন ক্যালকুলেটর ও হাতের ব্যবহৃত ঘড়ি জব্দ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।
যে কারনে গণিত পরিক্ষায় শতভাগ উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, পরীক্ষায় গণিতের সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্যালকুলেটর শিক্ষার্থীদের অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রের দায়িত্বেরত শিক্ষকরা ট্যাগ অফিসারের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর জব্দ করলে গণিতের শতভাগ উত্তর দিতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। যে কারনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা জিপিও প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হবে।
কেন্দ্র সচিব মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন,গণিত পরীক্ষায় ১৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাধারণ ক্যালকুলেটর জব্দ করায় পরীক্ষায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন পরীক্ষার্থীরা।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার এটিও বজলুর রহমান বলেন, বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনায় ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পরীক্ষার কেন্দ্রে নিষেধ থাকায় কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে সেগুলোর জব্দ করতে বলা হয়। সেখানে দায়িত্বগত শিক্ষকরা ক্যালকুলেটর জব্দ করে। তবে সাধারণ ক্যালকুলেটর শিক্ষকরা না বুঝেই জব্দ করে এর দায়ভার কেন্দ্র সচিবের। এছাড়া ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক গণিত পরীক্ষায় উপজেলার শহীদ আকরামুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিক্ষক কামরুন নাহার কর্তৃক পরীক্ষার্থীদের গণিতে রাফ করতে না দেওয়ায় বিপাকে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। শতভাগ গণিতের উত্তর দিতে পারেনি বলে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান। এসএসসি পরিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, পরীক্ষার্থীদের হাত ঘড়ি নিয়েছে কিন্তু সাধারণ ক্যালকুলেটর জব্দ করা ঠিক হয়নি।ইলেকট্রনিক ডিভাইস গোলীয় ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ। আমি সেদিন ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
Leave a Reply