ঢাকাবুধবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. টপ নিউজ
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সম্পাদকীয়
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নগরকান্দায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লার-আবর্জনার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসি 

Doinik Kumar
এপ্রিল ২৩, ২০২৫ ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক, নগরকান্দা

ফরিদপুর-গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, নগরকান্দা- সালথা সড়কের পাশে ও কুমার নদের পাড়ে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর পাশে ফরিদপুরের  নগরকান্দা পৌরসভার ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, পথচারী এলাকাবাসীসহ সকলে রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল- কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নাক মুখে কাপড় চেপে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণীর নগরকান্দা পৌরসভাটি দীর্ঘদিন ২৫ বছর  যাবৎ ধরে প্রশাসনিক কার্যক্রম চললেও মূলত ময়লা -পচা-আবর্জনা ভাগাড়ের নির্দিষ্ট কোন পয়েন্ট বা ডাস্টবিন নেই। ফলে পৌরশহরের বাজার ছাড়াও এলাকার বাসাবাড়ি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পুঞ্জিভূত ময়লা গুলো এভাবেই শহরের যেখানে সেখানে ফেলে রাখায় এ দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবেই সড়কের পাশে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব দুর্গন্ধযুক্ত  উচ্ছিষ্ট ময়লা-আবর্জনাসমূহ স্তুপ আকারে রাখায় যানবাহনের চালক পথচারিদের পথ চলা দুরূহ হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের ওই সড়কেই উপজেলা এসিল্যান্ড অফিস, পৌরসভা ভবন, কেন্দ্রীয়  বাজার মসজিদ, টিএনটি অফিস, বাস স্টপেজ,আল-দিন ফাউন্ডেশন, শায়েখ জাকারিয়া (র:) এরাবিক মডেল মাদ্রাসা, ফয়জুন্নেসা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বাজার ও সরকারি  নগরকান্দা  কলেজ রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে একাধিক ব্যাংক বীমা অফিস,টিভি ফ্রিজের শোরুম  ইত্যাদি। ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের বিপরীত পাশে দোকানপাট ও ভিআইপি আবাসিক এলাকা অবস্থিত।
এলাকার বাসিন্দা, মোঃ আসাদুজ্জামান (স্বপন মোল্লা) ও পাইকারি ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন মিয়া জানান, এক মাস হলো, পৌরসভার মায়লা- আবর্জনা নগরকান্দা বাসীর বার বার আবেদন নিবেদনের প্রেক্ষিতে, এখানে ফেলেন না, কিন্তু বাসা বাড়ির লোকজন এখানে নিয়মিত ময়লা – আবর্জনা ফেলছেন। এতে করে আমাদের দুর্ভোগ পূর্বের মতো রয়েছে গেছে।
এলাকার বাসিন্দা, পারভিন ও খবিরন  বেগম বলেন, ময়লার দুর্গন্ধের কারণে এখানে বসবাস করা দায়। নাক মুখ চেপে রাস্তা চলাচল করতে হয়। বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা দুর্গন্ধের কারণে ঠিকমতো খাবার খেতে পারছে না। এ কারণে  বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া গরু- ছাগলও ঠিকমতো খাবার খেতে পারছে না গন্ধ আর  মাছির কারণে।
উপজেলা  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সরকার ও ডাক্তার আনন্দ কুমার সাহা বলেন, সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়ের কারণে পথচারীদের দুর্গন্ধের কারণে বিভিন্ন রোগবালাই হতে পারে। খোলা স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে ওই এলাকার পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মশা-মাছির উপদ্রব  বাড়তে পারে ওই এলাকায়। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন,  পৌরসভায় ময়লা- আবর্জনা রাখার জন্য নিজস্ব  কোনো ডাস্টবিন বা জমি না থাকার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। অস্থায়ী ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু তা চুরি হয়ে গেছে। তাছাড়া মায়লা-আবর্জনা আর ওখানে ফেলা হয় না। ডাস্টবিনের জন্য জায়গা খোজা  হচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।